রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বুধবার তৃতীয়বারের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পরেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওই দিন রাজ্যের লোকাল ট্রেন পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য বন্ধ করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সমস্ত সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সমাবেশ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বন্ধ রাখা হচ্ছে জিম, স্পা, শপিং মল, বার।
সরকারি নির্দেশে এ রাজ্যে বর্তমানে বেলা ১২টা থেকে দুপুর ৩টে পর্যন্ত খোলা থাকছে সোনার দোকান, শো রুমগুলি। এ দিকে একে অক্ষয় তৃতীয়া, তার উপর বিয়ের মরসুমে বাংলায় সংক্রমণের আশঙ্কা সঙ্গে নিয়েই জোর কদমে চলছে কেনাকাটা।
সামনেই অক্ষয় তৃতীয়া, তার উপর বিয়ের মরসুমে রাজ্যে মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকছে সোনার দোকান, শো রুমগুলি। কতটা প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়? জানা গিয়েছে, দোকান খোলা রেখে বা অক্ষয় তৃতীয়া উপলক্ষে বিশেষ ছাড় দিয়েও ছোট দোকানগুলিতে উৎসব সুলভ ভিড় নেই!
করোনার আতঙ্ক আর অপর্যাপ্ত গণপরিবহণের অভাবে শহরের রাস্তা-ঘাট প্রায় ফাঁকা! এই পরিস্থিতিতে তৃতীয়া উপলক্ষে বিশেষ ছাড় পেতে দোকান পর্যন্ত যেতে নারাজ বহু ক্রেতাই। তবুও করোনার বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা রাখছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতার আনাগোনায় উৎসবের মেজাজ বা ভিড় চোখে না পড়লেও বিয়ের গয়নার বিক্রি মোটামুটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই চলছে। তবে রাজ্যের স্বর্ণ ব্যবসার বড় প্রতিষ্ঠানগুলি গত বছরের লকডাউনের অভিজ্ঞতা থেকেই শিক্ষা নিয়ে বিকল্প পথে সোনা-গয়নার কেনাকাটা সচল রেখেছেন।
সেনকো গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডস-এর সিইও শুভঙ্কর সেন জানান, ক্রেতা এবং কর্মীবৃন্দের সুরক্ষার স্বার্থে শোরুমগুলি সীমিত সময়ের জন্য খোলা থাকছে। নানা রকম ডিজিটাল মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে সোনা-গয়নার কেনাকাটা সচল ও স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
ভিডিও কলিং, হোয়াটস্যাপ-এর মাধ্যমে সোনা-গয়নার অর্ডার বুকিং-সহ প্রয়োজনে ক্রেতার অর্ডার হোম ডেলিভারি দেওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছে সেনকো গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডস। এ ছাড়াও সংস্থার ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অর্ডার নেওয়া হচ্ছে। অনলাইন কেনাকাটায় রয়েছে বিশেষ ছাড়ের সুযোগ!
সেনকো গোল্ড এন্ড ডায়মন্ডস-এর মতোই করোনা অতিমারীর মতো পরিস্থিতির মোকাবিলায় ডিজিটাল সেলসের উপর জোর দিচ্ছেন একাধিক নামী স্বর্ণ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। ফলে সারাদিনে মাত্র ৩ ঘণ্টা খোলা থাকলেও সোনার ক্রেতা-বিক্রেতা— উভয়ই এখন সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ডিজিটাল নির্ভর হচ্ছেন।