সারা দেশে অতিবৃষ্টির প্রভাব এখন সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে পড়েছে। এ বছরের অতিবৃষ্টির কারণে সবজির দাম এখন আকাশ ছোঁয়া! গত কয়েকদিনের প্রবল বর্ষণের পর অনেক এলাকায় ক্ষেতের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছের গোড়ায় জল জমে প্রচুর ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে, পচে যাচ্ছে।
অতিবৃষ্টি ছাড়াও ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী ডিজেলের দর প্রভাব ফেলছে দৈনন্দিন বাজারে। অতিবৃষ্টি আর ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জোরা ধাক্কায় শাক-সবজির দাম ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। সবজি ব্যবসায়ীদের মতে, অতিবৃষ্টিতে শাক-সবজির জোগান কমেছে বাজারেও। চাহিদার তুলনায় জোগানের অভাবে দাম আকাশ ছুঁয়েছে।
দিল্লির সবজি বাজারে ৩০ টাকা কেজির টমেটোর দর দ্বিগুন বেড়ে ৬০ টাকা কেজি ছুঁয়েছে। এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হওয়া টমেটো এখন ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
দিল্লির সবজি বাজারের বিক্রেতাদের মতে, জোগানের ঘাটতি দ্রুত পূরণ না হলে ৩০ টাকা কেজির টমেটোর দর শীঘ্রই ১০০ টাকা কেজিতে পৌঁছে যাবে। একই কারণে বেগুনের দরও ৪০ টাকা কেজি থেকে বাড়তে বাড়তে ১০০ টাকা পেরিয়েছে।
টমেটো, বেগুনের মতো ধনেপাতার দরও অতিবৃষ্টি আর ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জোরা ধাক্কায় দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া ধনেপাতা এখন ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অতিবৃষ্টির প্রভাবে বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দামও। বিক্রেতাদের একাংশের দাবি, মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের জোগানে ঘাটতির কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অতিবৃষ্টির কারণে দেশের বহু অংশে সময় মতো নাসিক থেকে আসা পেঁয়াজের ট্রাক পৌঁছাতে পারছে না। ফলে জোগানে অভাবে দাম বাড়ছে পেঁয়াজের।
মূলত নাসিকের পেঁয়াজের আমদানির উপরেই রাজ্যে পেঁয়াজের দামে ওঠা-পড়া নির্ভর করে। তবে বাংলায় উৎপাদিত সুখ সাগর পেঁয়াজের পর্যাপ্ত জোগানের ফলে এ রাজ্যে এখনও পেঁয়াজের দাম তেমন একটা বাড়েনি।
১৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া লাউয়ের দাম ৩৫ টাকায় পৌঁছেছে। বাঁধাকপির প্রতি কেজি বাড়তে বাড়তে এখন ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারের অন্যান্য শাক-সবজির দরও এখন আকাশছোঁয়া। ফলে সব মিলিয়ে উৎসবের মরসুমে মধ্যবিত্তের ট্যাঁকে টান পড়েছে।