ট্রেন এ দেশে সবচেয়ে ব্যবহৃত পরিবহণ মাধ্যম। প্রতিদিন বহু সংখ্যক মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। অনেককে কাজের জন্য বা অন্য যে কোনও প্রয়োজনে রাতেও ট্রেনে সফর করতে হয়। কিন্তু রাতের ট্রেনে সফর করতে গেলে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত।
লাইট বন্ধ: রাতে দূরপাল্লার ট্রেনে সফর করতে হলে সহযাত্রীদের সমস্যা যাতে না হয় তার জন্য লাইট অফ করে রাখাই বাঞ্ছনীয়। শুধুমাত্র নাইট লাইট ব্যবহার করা উচিত।
কী কী জিনিস নেবেন না: ট্রেনে যাত্রার সময় কোন দাহ্য পদার্থ বহন করা যাবে না। ভ্রমণের সময় কেরোসিন, পেট্রোল, আতশবাজি এবং গ্যাস সিলিন্ডার ইত্যাদি দাহ্য পদার্থ বহন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
আপনি যদি দাহ্য পদার্থ সহ ধরা পড়েন সে ক্ষেত্রে জরিমানা এবং হাজতবাস দু'টোই হতে পারে।
টিকিট পরীক্ষা: রাত ১০টা থেকে ৬টা পর্যন্ত টিকিট চেকার টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন না। তবে মাঝরাতে ট্রেনে যাত্রী উঠলে অবশ্যই এই নিয়ম খাটে না। নতুন যাত্রীদের ক্ষেত্রে রাতেও টিকিট পরীক্ষা করতে পারেন টিকিট পরীক্ষক।
সহযাত্রীদের সহযোগিতা: মিডল বার্থ খুলে শোয়ার সময় রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত। এই সময়ের বাইরে মাঝের বার্থ খুলে রেখে সহযাত্রীদের সমস্যায় ফেলা উচিত নয়।
জোরে কথা বলা: রাতে ট্রেন যাত্রার সময় ফোনে জোরে কথা বলা, ব্যক্তিগত স্পিকার চালিয়ে গান বাজানো, সহযাত্রীদের অসুবিধার কারণ হতে পারে। এ ধরনের আচরণ না করাই শ্রেয়।
খাবার প্রি-অর্ডার: অধিকাংশ দূরপাল্লার ট্রেনে রাত ১০টার মধ্যে খাবার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। অনেকেরই অবশ্য অভ্যাস রয়েছে দেরি করে ডিনার করার। সেক্ষেত্রে আগে থেকে অর্ডার না করে রাখলে রাতে সমস্যায় পড়তে পারেন।
নীরবতা পালন: রাতে বিশেষ করে, রাত ১০টার পর ট্রেনে উচ্চস্বরে কথা বলা বা ফোনে জোরে গান চালানো উচিত নয়। নীরবতা পালন করার নির্দেশ রয়েছে মন্ত্রকের তরফে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, সে নিয়ম লঙ্ঘিত হয়েছে। এক্ষেত্রে বিশেষত দূরপাল্লার ট্রেনে সহযাত্রীরা সমস্যায় পড়েন।
ভ্রমণে চার্জ: অনেক জোনে রাত ১১টার পর ট্রেনের পাওয়ার বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাই ১১টার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসের চার্জ দিয়ে দেওয়া উচিত।