২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মহানন্দা নদী থেকে শিশু কন্যা ও তার মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারকে ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার চাঁচলের আশাপুর মহানন্দা নদী তীরবর্তী এলাকায়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চাঁচল থানার পুলিশ। নদী থেকে মহিলার মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল মহানন্দার নদী তীরবর্তী এলাকা থেকে ভেসে আসতে দেখা যায় একটি শিশু কন্যার দেহ।
স্থানীয়রা দেহটি উদ্ধার করে থানায় খবর দেয় চাঁচল থানায়। তবে সেই মুহূর্তে মৃত শিশুর কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। আজ ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই চাঁচলের আশাপুর মহানন্দা নদীর ঘাট থেকে শিশু কন্যার মা এর মৃতদেহ উদ্ধার হল।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম প্রিয়া পারভিন (২৩), মৃত শিশুকন্যাটির নাম সিমি পারভিন (২)। শিশু ও মহিলার পরিচয় প্রকাশ্য়ে আসার পর তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ বছর আগে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের গরাহার গ্রামের মহাম্মদ সামিউল্লাহ নামে এক যুবকের সাথে বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকে পণের জন্য ওই মৃত গৃহবধূর ওপর অত্যাচার চালাত তার স্বামী বলে অভিযোগ। এর আগেও একাধিকবার তাঁকে মারধর করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সেই অত্যাচারের জেরে গত একমাস আগে ৬ লক্ষ টাকা নাতজামাই কে পণ দেন মৃতার দাদু খলিল মাহমুদ। তার পরেও কেন আমার নাতনি ও তার তিন বছরের শিশুকন্যাকে খুন করা হলো তা নিয়ে ধন্দে রয়েছি আমরা।
যদিও গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে চাঁচল ও ইটাহার থানার পুলিশ। ইটাহার থানার পুলিশ সূত্রে জানা যায় মৃত মহিলার স্বামী মহম্মদ সামিউল্লাহকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুই জেলার পুলিশ।