করোনা আবহে কাঁপছে মালদা জেলা। প্রতিদিনই বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ। করোনা মোকাবিলায় বাজারে বিক্রি হওয়া হ্যান্ড স্যানিটাইজার থেকে অক্সিজেন সবেতেই এখন কালোবাজারির রমরমা।
এই সমস্ত কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি মানুষকে সাহায্য করতে, বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের সাহায্যে মালদার চাঁচল প্রশাসন নেমে পড়ল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরিতে।
মালদা জেলা প্রশাসন ও চাঁচল মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৈরি করা হচ্ছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
রবিবার চঁচল মহকুমা শাসকের দপ্তরে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে স্যানিটাইজার তৈরির কর্মশালা শুরু হয়।
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় ভাইরাস রুখতে স্যানিটাইজার ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বাজারে দ্বিগুণ হারে বিক্রি হচ্ছে স্যানিটাইজার।
সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে মালদা জেলা প্রশাসন ও চাঁচল মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে চাঁচল এসডিও অফিসে রবিবার থেকে শুরু হল হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির প্রস্তুতি।
জেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের নিয়ে এই স্যানিটাইজার প্রস্তুত করা হচ্ছে।
যদি স্যানিটাইজারের অভাব হয় বাজারে, যাতে স্যানিটাইজার কম না পড়ে, তার জন্যই এমন অভিনব উদ্যোগ চাঁচল মহকুমা শাসকের।
এমনকী যা পরিস্থিতি তাতে বিকল্প পথে উপার্জনের পথ খুঁজে দিতে পারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। এমনটাই মনে করছেন তাঁরা।
তাই তাদের আগ্রহ আরও খানিকটা বেশি। প্রথম দিন বেশ খানিকটা স্যানিটাইজার তৈরি করে ফেলেছেন শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে। যা যথেষ্ট কার্যকরী বলে মনে করছেন তাঁরা।
শিক্ষকরাও ছাত্র ছাত্রীদের আগ্রহ দেখে শেখাতে বিশেষ উদ্যোগী হয়ে পড়েছেন। তবে স্যানিটাইজার প্রয়োজনীয় হলেও যথেচ্ছ ব্যবহার করার উপর সতর্ক থাকতে বলেছেন।
শিক্ষার্থীরাও আগ্রহ নিয়ে স্যানিটাইডজার তৈরি শিখছে। অনেকেরই বক্তব্য আগে বাড়িতে স্যানিটাইজার বানিয়ে যদি সাফল্য পাই, তাহলে আরও বানাতে পারবো।