নির্বাচনের আগেই দাবি জানিয়েছিলেন এখানকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল বাঁধের সমস্যা সমধান না হলে ভোট নয়। তাঁদের দাবি পবিষয়টি কানে আসতে বিডিও-র নেতৃত্বে প্রশাসনিক আধিকারিকরা গিয়ে তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন।
শুধু আশ্বাসই নয়, কোচবিহারের চর বালাভূতে কিছুদিনের মধ্যেই বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু দেরি হয়ে যাওয়ায় বর্ষা চলে আসে। তাতে কাজ শেষ করা যায়নি। ফলে আশঙ্কাই সত্যি হল।
বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের চর বালাভূত এলাকায় কালজানি নদীর জল বেড়ে, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চরের গ্রামটি। শনিবার চরবালাভূত এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জলমগ্ন হতে হতে নদীগর্ভে চলে যাচ্ছে।
ফলে ব্যাপক যদিও আতঙ্কে রয়েছেন ওই চর বালাভূত এলাকার মানুষ। রাতে ঘুম উড়েছে। চারিদিকে শুধু জলের সোঁসোঁ শব্দ। ব্যাপক স্রোতের টানে বেশ কয়েকটি ঘর আগেই তলিয়ে গিয়েছে।
আগের বছর অন্যদিকে চর ভেঙে গিয়েছিল বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এবার আবার আরেক দিকে চর ভাঙছে। পাথরের জালি দিয়ে বাঁধ একটা আছে কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না।
চর বালাভূত কোচবিহার জেলার বাংলা সীমান্তের গ্রাম। শুধু সীমান্ত বললেও ভুল হবে, আসলে এটি সীমান্তের ওপারে নো ম্যানস ল্যান্ডে পড়ে। একদিকে বাংলাদেশ, একদিকে নিজের দেশ। নদীর মাঝখানে থাকায় বাংলাদেশ যাওয়া যায় সহজেই।
প্রতি বছরই বর্ষার সময় কয়েক মাস তাঁদের আতঙ্কে রাত জাগতে হয়। ফলে এবার তাঁরা বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সরব হয়েছিলেন। তাঁরা চেয়েছিলেন স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ হোক।
কিন্তু কাজ শুরু হতে দেরি হওয়ায় এবার আর কাজ শেষ করা গেল না। প্রশাসনের তরফ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাঁধও স্থায়ী হবে। কিন্তু ততদিনে আরও কিছু ক্ষতি হয়ে যাবে। যা কোনওদিনই পূরণ হবে না।