কথায় বলে হাতির ভোজ। তা ভালই টের পেলেন কুমড়ো চাষি। এক রাতে তিন হাতি সাবার করে দিল দুই বিঘা জমির প্রায় দেড় লাখ টাকার চাল কুমড়ো।
লকডাউনে কাজ হারিয়ে মহাজনের থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে সর্বশান্ত মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরের কার্তিক দাস। পেশায় পর্যটন ব্যবসায়ী মাদারিহাটের মেঘনাদ সাহা নগরের স্থানীয় বাসিন্দা কার্তিক দাসের পর্যটনের ব্যবসা বন্ধ প্রায় দু বছর হল।
পরিবারের খাবার জোটাতে চার মাস আগে স্থানীয় এক মহাজনের থেকে চড়া সুদে ঋন নিয়ে নিজের প্রায় দুই বিঘা জমিতে চাল কুমড়ো চাষ করেন।সেই চাল কুমড়ো খেতের প্রতিটি গাছে প্রচুর পরিমানে চাল কুমড়োর ফলনও হয়।
তবে চাল কুমড়ো বাজারে বিক্রির আগেই গোটা ক্ষেতের ফসল চলে গেল তিন হাতির পেটে। আর এতেই মুষড়ে পড়েছেন মেঘনাদ সাহা নগরের কার্তিক দাস।
বৃহস্পতিবার রাতে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের তিন দামাল খাবারের সন্ধানে জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে হামলা চালায় মাদারিহাটের প্রধান নগর, উত্তর ছেকামারি, মেঘনাদ সাহা নগরে। শুক্রবার ভোরে তিনটি হাতি ঢুকে পড়ে মেঘনাদ সাহা নগরের কার্তিক দাসের চাল কুমড়ো ক্ষেতে।
প্রায় ঘন্টা দুয়েক গোটা চাল কুমড়ো ক্ষেতে হামলা চালিয়ে ওই তিন হাতি সাবার করে প্রায় দেড় লাখ টাকার চাল কুমড়ো। সমস্ত ঘটনাটি নিজের চোখে দেখেও প্রাণ ভয়ে কিছুই করতে পারেনি কার্তিক দাস।
ঘটনার খবর পেয়ে বনদপ্তর হাতি তাড়াঁতে কার্তিক দাসের বাড়ি পৌঁছানোর আগেই ততক্ষণে যা ঘটার তা ঘটে গেছে। বনদপ্তর কার্তিক দাসের বাড়ি এসে হাতি গুলোকে তাড়িয়ে দিলেও রক্ষা করা যায়নি দুই বিঘা জমির চাল কুমড়ো। কার্তিক দাস বলেন বনদপ্তর সঠিক সময়ে এলে আমার ক্ষেতের চাল কুমড়ো ফলন বাঁচানো যেত।
মহাজনের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে এই চাষ করেছিলাম। এখন বনদপ্তর এর ক্ষতিপূরন না দিলে পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করা ছাড়া অন্য কোনও পথ খোলা নেই। মাদারিহাটের রেঞ্জার রমেশ রাজা বলেন কার্তিক দাসের বাড়িতে আমাদের একটি দল গিয়েছে। তারা খতিয়ে দেখছে কতটা ক্ষতি হয়েছে। সেই মোতাবেক কার্তিক দাসকে ক্ষতিপূরণ দেবে বনদপ্তর।