বড়দিন এবং বর্ষবরণে ভুটান ঘাট পাহাড়ের সাত রঙের রামধনুর আলোর ছটা দেখা থেকে এই মরশুমে বঞ্চিত হতে হবে দেশ বিদেশের পর্যটকদের।
বর্তমান পরিস্থিতিতে আলিপুরদুয়ার জেলায় পর্যটনের অন্তরায় রয়াল বেঙ্গল টাইগার। রয়াল বেঙ্গল টাইগার দর্শনের সুবাদে পর্যটকদের জঙ্গল সাফারির জন্য বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ।
জঙ্গল সাফারির ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের বিখ্যাত ভুটান ঘাট এলাকা।
বক্সার কোর জঙ্গলের এই এলাকার ভুটানঘাট পাহাড়টি পর্যটকদের কাছে বরাবরই আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এই পাহাড়ে এলেই লাল, গেরুয়া, হলুদ, ধূসর,খয়েরি সহ সাতটি রঙের ছটা দেখা যায়।
তবে পর্যটকদের জন্য ভুটানঘাট বন্ধ করা হলেও বেশ কিছু প্রশাসনিক কর্তা, বনদপ্তরের আধিকারিক পুলিশ কর্তারা পরিবার নিয়ে ভুটানঘাটে বেড়াতে যায় বলে অভিযোগ পর্যটন ব্যবসায়ীদের।
কেন পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই ভুটানঘাট এলাকা। বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফডি পি হরিশ জানিয়েছেন, বক্সায় বাঘের দেখা পাওয়া যাওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন কোর এলাকায় পর্যটকদের জন্য প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
বক্সার দেখা পাওয়া বাঘের নিরাপত্তা দিতে এবং কোর জঙ্গলে মানুষের উপস্থিতি কমাতে বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। আপাতত বক্সার কোর জঙ্গলের ভুটানঘাটে পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডিএফডি পি হরিশ জানিয়েছেন ভুটান ঘাটে এখন কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও সরকারি আধিকারিক কিংবা তাদের পরিবার কাউকেই ভুটানঘাটে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
কুমারগ্রাম ব্লকের ময়নাবাড়ির নর্থ রায়ডাক রেঞ্জের অবস্থিত এই ভুটানঘাটের ওপারে ভুটান পাহাড় এপারে বক্সার কোর জঙ্গল এলাকা। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে রায়ডাক নদী।
নদীর এপারে দাঁড়িয়েই ওপারে ভুটান পাহাড়ের অপূর্ব পাহাড়ের রুপের টানে ফি বছর কাতারে কাতারে পর্যটক ছুটে আসেন বিখ্যাত এই ভুটানঘাটে।
নব্বইয়ের দশকে এই ভুটানঘাট এলাকা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন কেএলও-দের যাতায়াতের মূল করিডোর হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তারপর থেকেই এই ভুটানঘাট এলাকায় এসএসবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এখনও ভুটানঘাটে প্রবেশ করতে হলে বন দপ্তরের পাশাপাশি এসএসবির অনুমতি নিতে হয়। তবেই ভুটানঘাটে প্রবেশ করার ছাড়পত্র মেলে।