করোনা সচেতনতা প্রচারে দলীয় নির্দেশ রয়েছে রাস্তায় নেমে কাজ করার। মানুষের পাশে থাকার। বাকিদের অনেকের জিতে বিধায়ক হওয়ার পর হদিশ না মিললেও শহর চষে বেড়াচ্ছেন দুই বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ ও আনন্দময় বর্মন।
মাটিগাড়া নকশালবাড়ি এলাকার প্রতিটি এলাকায় সকাল হলেই মানুষের দোরে দেখা যাচ্ছে আনন্দ বর্মনকে। কখনও হাতে মাস্ক, কখনও স্যানিটাইজার কিংবা গ্লাভস।
কখনও তিনি স্রেফ ভোকাল টনিকে চাঙ্গা করছেন এলাকার বাসিন্দাদের। এলাকাবাসীও স্বীকার করেছেন আজ পর্যন্ত কোনও বিধায়ককে এভাবে রোজ খোঁজ নিতে আসতে দেখিনি।
অন্যদিকে বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই মানুষের জন্য মাথা খাটিয়ে নানা সেবামূলক পরিকল্পনা বের করে আনছেন শঙ্করবাবু। কখনও হেল্পলাইন চালু, কখনও হাসপাতালে গিয়ে পরিস্থিতি নজর রাখা।
মাইক নিয়ে শহরবাসীকে সচেতন করতে মাইক হাতে রাস্তায় নামলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ। শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন চত্বর থেকে বাজার পর্যন্ত চলে এই সচেতনতা মাইকিং।
এদিন তিনি মাইকিংয়ের মাধ্যমে এলাকাবাসীকে করোনা নিয়ে সচেতন করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং মাস্ক ব্যবহার করার আবেদন জানান।
গত কয়েকদিন থেকে শিলিগুড়িতে মূলত শিলিগুড়ি পৌরসভায় এলাকাতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।
এই পরিস্থিতে মানুষকে সচেতন করা ছাড়া কোনো পথ দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা। তাই এবার শিলিগুড়ির গুরুত্বপূর্ণ এবং বাজারগুলিতে মানুষকে সচেতন করতে নিজেই মাইক হাতে রাস্তায় নামলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ।
গত কয়েকদিন থেকেই শিলিগুড়ি টিকিয়াপাড়া বাজার ও টাউন স্টেশন বাজার এলাকাতে ভিড়ের খবর আসছিল। এখানে সবজি ও মাছের বড় বাজার থাকায় মানুষকে বিরত রাখা যাচ্ছে না।
তাই শনিবার সকালে মাইক হাতে শিলিগুড়ি টাউন স্টেশন সংলগ্ন বাজার এলাকাতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সচেতন করেন বিধায়ক।
এদিন তিনি মাইকিং এর মাধ্যমে সকলকে বলেন যেভাবে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত জরুরী কাজ ছাড়া বাড়ি থেকে বের হবেন না।
সেই সঙ্গে তিনি বাজার এলাকায় মাইকিং করে সকলের কাছে আবেদন রাখেন করোনার এই পরিস্থিতিতে কোভিদ স্বাস্থ্যবিধি মানা অত্যন্ত জরুরী এবং সকলকে মাস্ক পড়তে আবেদন করেন তিনি।
সম্প্রতি শিলিগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য তিনি একটি হেল্পলাইন নাম্বার চালু করেছিলেন, এই মাইকিং এর মাধ্যমে সেই হেল্পলাইন নাম্বারও তিনি তুলে ধরেন এলাকাবাসীদের কাছে।
প্রয়োজনে তাঁকে ফোন করেও যে কোনও রকম সহায়তা পাওয়া যাবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। যেভাবে ক্ষমতায় না থেকেও মানুষের পাশে থাকছেন শঙ্কর ও আনন্দ, তাতে শিলিগুড়িবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন তাঁরা।
আগামীতেও লাগাতার তাঁরা প্রচার ও বিধায়ক তহবিল থেকে মানুষের সাহায্যে কাজ করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।