রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে কন্যাশ্রী দিবস। পাশাপাশি শিলিগুড়িতে কন্যাশ্রী অষ্টম বর্ষ দিবস উদযাপন করা হল মহকুমাশাসকের দফতরে।
করোনা আবহের জন্য নিত্যান্ত সাদামাটা ভাবে পালিত হল। এদিন মহকুমা শাসক একটি ট্যাবলোর সূচনা করে সবুজ পতাকা দেখিয়ে।
কীভাবে কন্যাশ্রী সুবিধা ছাত্রীরা পাবে তা এই ট্যাবলো থেকে মাধ্যমে জানতে পারবে। শিলিগুড়ি শিক্ষা জেলা হিসেবে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সেরা বিদ্যালয়ের পুরষ্কৃত হয়েছে খোপলাশি হিন্দি হাই স্কুল, বেলগাছি হিন্দি জুনিয়র স্কুল, ফাঁসিদেওয়া হাই স্কুল।
সেরা মহাবিদ্যালয় হিসেবে পুরস্কৃত হয়েছেন মুন্সি প্রেমচাঁদ মহাবিদ্যালয়, আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র গভর্নমেন্ট কলেজ, কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়।
পাশাপাশি উজ্জ্বল কন্যাশ্রী হিসেবে রাজ্যস্তরে নির্বাচিত নেতাজি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ছাত্রী শ্রেয়সী চট্টোপাধ্যায়কে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সম্বর্ধনা ও পাঁচ হাজার টাকা চেক তুলে দেওয়া হয়।
এদিন প্রত্যেকের হাতে ট্রফি শংসাপত্র ও গাছের চারা তুলে দেন মহকুমায় শাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাটিল। পাশাপাশি কন্যাশ্রী প্রকল্পে খড়িবাড়ি বেস্ট ব্লক নিরঞ্জন বর্মন, বেস্ট ডাটা ম্যানেজার সন্দীপ দত্তকেও পুরস্কৃত করা হয়।
এদিন মহকুমায় শাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাটিল বলেন জেলার মধ্যে আমাদের যা অবস্থান রয়েছে সেটিকে বজায় রাখার চেষ্টা করব।
অন্যদিকে শ্রেয়সী জানান, আমি খুব আনন্দিত। কন্যাশ্রী প্রকল্প সত্যি খুব কার্যকর। আমার মতন ভবিষ্যতে আরও পুরস্কার পায়। প্রসঙ্গত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের বার্তা বাহক ১৮ বছরের আগে যাতে মেয়েদের বিয়ে না দিয়ে পড়াশোনা করিয়ে তাদের স্বনির্ভর হতে পারে। সেই দিকে লক্ষ্য রেখে পশ্চিমবঙ্গের সরকার এই প্রকল্প চালু করেছিল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২কোটি ৪৩ লক্ষ ৭৭হাজার ৪২৬ জন নাম নথিভুক্ত করিয়েছে কন্যাশ্রী প্রকল্পে। যার মধ্যে ২ কোটি ৩৬ লক্ষ ৩৩ হাজার ৯৩৪ জন কন্যাশ্রী প্রকল্পের অনুমোদন পেয়েছে। লক্ষ লক্ষ গরীব কিশোরীর স্বপ্ন পূরন করেছে কন্যাশ্রী।