চলতি মরশুমে টানা তুষারপাত পর্যটক তো বটেই, স্থানীয়দেরও অত্যন্ত খুশি প্রদান করেছে। এমন সাদায় সাদা পাহাড় বহু বছর এমনকী দশক দেখেনি পাহাড়।
হিমালয়ান রিজিয়নে এ রাজ্যের দার্জিলিং থেকে শুরু করে সিকিম, ভুটান, নেপাল বারবার তুষারে ঢাকা পড়েছে। ঝিরিঝিরি তুষার ঢেকে দিয়েছে পাহাড়কে।
কোথাও দেড় ইঞ্চি, কোথাও দুই ইঞ্চি, বরফে ঢাকা পড়েছে। সিমলা বা কাশ্মীরের মতো না হলেও এ বরফ সরাতে বা গলতেই সময় লাগছে অনেক।
কয়েকদিন বিরতির পর বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ফের নতুন করে তুষারপাত শুরু হয়েছে। উত্তর সিকিমের লাচুং, লাচেন তুষারে ঢেকে গিয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে পাল্লা দিয়ে আবহাওয়ার মুখ ভার সমতলেও। শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, কোচবিহার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় আকাশের মুখ ভার সকাল থেকেই।
শিলিগুড়ি সহ একাধিক জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে তাপমাত্রা অনেকটা কম থাকলেও, হিমেল অনুভব কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে মানুষকে।
চলতি মরশুমে ১৫ দিনের বেশি তুষারপাত হয়েছে। যা মতান্তরে প্রায় ১৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এর আগে ২০০৭ সাল নাগাদ টানা তুষারপাত হয়েছিল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারই অনেক বেশি তুষারপাত হচ্ছে। পর্যটনের জন্যও এটা ভাল খবর, যেহেতু এই অঞ্চলের অন্যতম প্রধান অর্থনৈতিক ভিত্তি হলো পর্যটন।
মার্চ পর্যন্ত আরও কয়েক দফায় তুষারপাত আশা করছেন স্থানীয় ও আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। আর তাতে পর্যটনের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত লাভের পাশাপাশি হাতের কাছে এমন তুষারপাত দেখার সুযোগ পাবেন পর্যটকরাও।