দিদি আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বেতন নেই। আমরা কি করে বাঁচব ? কাতর আর্তি সরকারি স্কুলের অস্থায়ী শিক্ষকদের।
শুধু আর্তি হলে তবু কথা ছিল, শিক্ষক দিবসের দিন তাঁরা যা করলেন, তা এক কথায় শিক্ষকদের জন্য, জাতির জন্য লজ্জার।
বাটি হাতে বাস স্ট্যান্ডে আসতে হল তাঁদের। তাঁরা ভিক্ষা করলেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। কেন ? কারণ তাঁরা সম্পূর্ণ বেতন পাচ্ছেন না।
পূর্ণ সময়ের শিক্ষকরা যেখানে সম্পূর্ণ পবেতন পাচ্ছেন, তাঁরা অস্থায়ী হওয়ায় তাঁদের বেতন কেটে দেওয়া হচ্ছে। অথচ তাঁরা সরকারি স্কুলেই পড়ান।
এখন ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া তাঁদের অন্য় কোনও উপায় নেই বলেই তাঁরা জানান। যদিও তাঁদের নিয়োগ করেছে বেসরকারি সংস্থা।
রবিবার সকালে হাওড়া বাসস্ট্যান্ডের ৬ নম্বর সাবওয়ের গেটে এন এস কিউ এফ শিক্ষকরা হাতে থালা-বাটি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান।
ন্যাশনাল স্কিল কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে কারিগরি শিক্ষকরা জানিয়েছেন তারা সরকারি নিয়ম মেনে নিয়োগ হলেও বেসরকারি সংস্থার অধীনে কাজ করেন।
তাদের মাসিক বেতন অত্যন্ত কম এবং অনিয়মিত। বেসরকারি সংস্থা তাদের ওপর মানসিক অত্যাচার করে এবং চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
গোটা রাজ্যে প্রায় পনেরশো এনএসকিউএফ শিক্ষক আছেন এবং প্রায় ২০০ জন ল্যাবরেটরি অ্যাসিস্ট্যান্ট আছেন।
চাকরিতে নিরাপত্তা নেই। বেতন নেই। তার ফলে তাঁদের কাছে বিকল্প হিসেবে অন্য কোনও কাজ জানা না থাকায় ভিক্ষাবৃত্তি কিছু উপায় নেই।
তাঁরা তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এই পথ বেছে নিয়েছেন। তাঁদের আর্তি, দিদি আমাদের বাঁচান।