কেউ যোগ দিয়েছিলেন নির্বাচনের শুরুতে, কেউবা অনেক আগে থেকেই ছিলেন। কিন্তু ভোটের পরে এখন দলে তাঁদের দেখা পাওয়াই মুশকিল। অনেকে তো দলই ছেড়ে দিয়েছেন। নির্বাচনের পরেই বিজেপির সেলেব ব্রিগেডের অধিকাংশ মুখকেই যেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। (সব ছবি-ফেসবুক)
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ভোটে হেরে যান। তারপর থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে সম্পর্কের পাট কার্যত চুকিয়ে দিয়েছেন। কয়েকদিন আগেই তিনি জানান রাজনীতি থেকে আপাতত সন্ন্যাস নিচ্ছেন।
একই ছবি পায়েলের ক্ষেত্রেও। নির্বাচনের আগে তিনিও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে পায়েল জানিয়েছিলেন বিজেপির হয়ে কাজ করে যাব। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের কোনও কর্মসূচিতেই পায়েলকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। যদিও নিজের ফেসবুক পেজে নিজের কভারে এখনও বিজেপির ছবি রেখেছেন তিনি।
অভিনেত্রী শ্রাবন্তীও বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামিল হয়েছিলেন পদ্ম শিবিরে। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রটি থেকে প্রার্থীও হন তিনি। ভোটে হেরে যাওয়ার পরে তাঁকে আর সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যায়নি। কয়েকদিন আগে তাঁর জন্মদিনে জানিয়ে চিঠি পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বঙ্গ বিজেপির টলি শিবিরে অন্যতম পরিচিত মুখ ছিলেন রূপা ভট্টাচার্য। এবার নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করেনি দল। নির্বাচনের পরেও তিনি বিজেপিতে ছিলেন। কিন্তু আচমকা কয়েকদিন আগে বাম নেতা শতরূপ ঘোষের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। এমনকি সিপিএমের মিছিলে হাঁটেন তিনি।
শতরূপ ঘোষের সঙ্গে সেই মিছিলে দেখা যায় অনিন্দ্য পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। কয়েকদিন আগেই বঙ্গ বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন একদা পদ্ম শিবিরের এই সদস্য। ইদানিং তাঁকে সিপিএমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে দেখা যাচ্ছে।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অভিনেতা বনি সেনগুপ্ত। ভোটে গেরুয়া শিবিরের হয়ে জোরকদমে প্রচারও সেরেছিলেন। কিন্তু বাকিদের মতো নির্বাচনের পরে তাঁকে আর বিজেপিতে দেখা যাচ্ছে না।