পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির অভিযুক্ত মডেল অর্পিতা মুখার্জির বাড়িতে ফের নোটের পাহাড় পাওয়া গেছে। গতকাল (বুধবার) অভিযানে উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে পাওয়া গেছে ২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
সেই সঙ্গে পাওয়া গেছে ৫ কেজি সোনাও। বেশিরভাগ নগদ টয়লেটে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। নোট গুনতে চারটি ক্যাশ কাউন্টিং মেশিন বসাতে হয়েছিল। প্রায় দশ ঘণ্টা ধরে চলে নোট গণনা।
এর আগে ২১ জুলাই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আস্তানায় প্রথম অভিযান চালায় ইডি। এ সময় উদ্ধার করা হয় ২১ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত দুটি অভিযানে অর্পিতার বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকার নগদ উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় বেলঘড়িয়ার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল টাকা আর সোনা উদ্ধার করেন ইডি আধিকারিকরা। এখান থেকে পাওয়া টাকার পরিমাণ আগের দিন ডায়মন্ড সিটি ফ্ল্যাটে উদ্ধার হওয়া ২১ কোটির টাকার অঙ্ককেও ছাড়িয়ে গিয়েছে।
কলকাতার এই নোটের বান্ডিলগুলি দেখে আঁতকে উঠেছেন অনেকেই। তবে দুর্নীতির এই গল্প এখানেই শেষ নয়। দুর্নীতির এই গল্পে আরও অনেক টুইস্ট রয়েছে।
২৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা নগদ ও ৫ কেজি সোনা। টাকার পরিমাণ এতটাই বেশি যে তা গুণতে ৫টি মেশিন আনতে হয়েছিল ইডির তদন্তকারী অফিসারদের।
মমতা সরকারের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সুপরিচিত, ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আরেকটি বাড়ি থেকে এই সম্পদ উদ্ধার করা হয়েছে। ইডি যখন থেকে দুর্নীতির জলাবদ্ধতার গভীরতা মাপার চেষ্টা করেছে, তখন থেকে একের পর এক সম্পত্তির স্তূপ উদ্ধার হচ্ছে।
২০টি বাক্স নগদ দিয়ে ভর্তি ছিল। নোটগুলি গুনতে ১০ ঘন্টা লেগেছিল এবং পুরো সম্পদ একটি ট্রাকে করে নিয়ে যেতে হয়েছিল। এই বিপুল সম্পদ দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বাংলায় শিক্ষা নিয়োগ কেলেঙ্কারির শিকড় কতটা গভীরে। তদন্তকারী দল তদন্তের জন্য এখানে পৌঁছলে গতকাল রাতে অর্পিতার সম্পদের কথা জানতে পারে ইডি।
গতকালের অভিযানে, ইডি অর্পিতার বাড়ি থেকে ২৭.৯ কোটি টাকার নগদ পেয়েছে। এতে ২০০০ এবং ৫০০ টাকার নোটের বান্ডিলে ঠাসা ছিল। জানা গিয়েছে, ২০ লাখ আর ৫০ লাখ টাকার বান্ডিলে নোটগুলো রাখা ছিল। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়ার মোট টাকার পরিমাণ প্রায় ৫০ কোটি টাকা।