পোস্তর দামে মধ্যবিত্ত বাঙালির চোখে জল। খাবারের পাতে পোস্তর দেখা নেই বললেই চলে । সেই পোস্ত যদি ফ্রি তে মেলে তবে কেমন হয় । কিন্তু কথাতেই আছে কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না। আর ফ্রিতে পোস্ত পেতে গেলে কষ্ট করে করতেই হবে। মূল্যবান পোস্তকে হাতিয়ার করেই নাগরিক সচেতনতাই পথে নামল পাল্লারোড পল্লীমঙ্গল সমিতির সদস্যরা।
সোমবার বিকেলে পূর্ব বর্ধমানের শহর বর্ধমানের কার্জন গেটের সামনে জিটি রোডে সচেতন বাইক আরোহীদের পোস্তর প্যাকেট বিলি করলেন। তবে ট্রাফিক আইন মেনে মাথায় হেলমেট এবং করোনা মহামারি রুখতে মুখে মাস্ক পরে যারা মোটরবাইক নিয়ে পথে বেড়িয়েছেন তারাই হলেন হলেন পোস্ত র অধিকারী। সমিতির পক্ষ থেকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হল বিনামূল্যে ৫০ গ্রাম পোস্ত।
পল্লীমঙ্গল সমিতির সম্পাদক সন্দীপন সরকার জানান, "নাগরিকদের সচেতন করাই তাদের লক্ষ্য। বাইক চালালে দুর্ঘটনা এড়াতে হেলমেট ও রাস্তায় বেরোলে মাস্ক অনিবার্য করোনা রুখতে সরকারি এই নিয়মবিধি মানুষের স্বার্থেই মানুষের মেনে চলা উচিত। কিন্তু অনেকেই এখনও নিয়ম না মানার দলে রয়েছে। তাদের সচেতন করতে মূল্যবান পোস্তর টোপ।"
তাঁরা ৫০ জন বাইক আরোহীকে ৫০ গ্রাম করে পোস্ত তুলে দিলেন। সন্দীপন জানান, "মানুষকে সচেতন করতে ভিভিন্ন সময় তারা কার্যক্রম করেন । এর আগেও তাঁরা যখন আলু, পিঁয়াজ, পেট্রোল, সর্ষের তেলের দাম বৃদ্ধি ঘটেছিল তখন একইভাবে সেগুলি সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায়। মূল্যবতিধির নিরব প্রতিবাদ হিসাবে। এদিন পোস্ত তুলে দেবার মধ্যেও সেই নিরব প্রতিবাদ জানালেন তাঁরা। "
ফ্রি পোস্ত পেয়ে খুশি মানুষ। তারা জানান দারুন উদ্যোগ। পোস্তর আকাশছোঁয়া দামে নাজেহাল মানুষ। সাধারণ মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে পোস্ত। সেই সময় এমন উদ্যোগ সচেতনা বৃদ্ধির সাথে যেন মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে নীরব প্রতিবাদ ।