Martyred Satpal Rai: তামিলনাড়ুতে চপার দুর্ঘটনায় নিহত দেশের সেনা সর্বাধিনায়ক বিপিন রাওয়াতের নিরাপত্তা রক্ষী দার্জিলিংয়ের বাসিন্দা শহিদ সৎপাল রাই (Satpal Rai)-এর পার্থিব দেহ নিয়ে আসা হল শহরে।
আরও পড়ুন: নয়া 'কুছ খাস হ্য়ায়!' ক্যাডবেরির নতুন অ্যাডে অর্ধেক আকাশের জয়গাথা
রবিবার দুপুরে সেনাবাহিনীর বিশেষ বিমানে দিল্লি থেকে বাগডোগরা আনা হয় শহীদ সেনা জওয়ানের মরদেহ।
আরও পড়ুন: হুগলিতে বাড়ির টালির চালা খুলে গুলি করে খুনের চেষ্টা, ভাড়া করা হয়েছিল 'সুপারি কিলার'
এরপর সেখানে থেকে সরাসরি ব্যাংডুবি সেনা ছাউনিতে তাঁকে (Satpal Rai) সেনাবাহিনীর তরফে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁর (Satpal Rai) মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তাঁর বাড়ি দার্জিলিংয়ে তাকদা (Takdah) এলাকায়।
আরও পড়ুন: 'তোলামূল'কে হারানোর জন্য ত্রিপুরাকে ধন্যবাদ, TMC-কে বিঁধলেন শুভেন্দু
জানা গিয়েছে, কাল, সোমবার পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় এবং রাই সম্প্রদায়ের রীতিনীতি মেনে শহীদ সৎপাল রাই (Satpal Rai)-এর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অন্যদিকে শহীদ এই গোর্খাসেনাকে শেষ বারের মত একবার দেখতে অধীর আগ্রহে রয়েছে পাহাড়বাসী।
আরও পড়ুন: ছাঁট মাল বেচে ২০০ কোটি টাকা ঘরে তুলল পূর্ব রেল, বৃদ্ধি ৮০ শতাংশ
এদিন ব্যাংডুবি সেনা ছাউনিতে শহীদকে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এদিন এখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান তাঁর স্ত্রী মন্দিরা রাই, ছেলে বিকল রাই।
আরও পড়ুন: সিঁথির মোড়ে 'বুর্জ খলিফা' ৫০ টাকায়! শেষ হওয়ার আগে কিনে ফেলুন
শ্রদ্ধা জানান দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, দার্জিলিংয়ের বিধায়ক নীরজ জিম্বা, মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন, শিলিগুড়ি পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান গৌতম দেব, শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক শ্রীনিবাস ভেঙ্কটরাও পাটিল-সহ সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।
এদিন সেনা ছাউনিতে শহিদ হাবিলদার সৎপাল রাই (Satpal Rai)-কে শ্রদ্ধা জানানোর পর পার্থিব দেহ নিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাড়ি দার্জিলিংয়ের তাকদার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কাল, সকালে তাঁর (Satpal Rai) শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।
শহিদ সৎপাল রাই (Satpal Rai)-এর মরদেহ বাড়িতে আসার জন্য অপেক্ষা করছিলেন তাঁর পরিজনরা। সৎপাল রাইয়ের ছেলে দিল্লি থেকে জানিয়েছিলেন, তাঁরা জানতে পেরেছিলেন ডিএনএ রিপোর্ট ১৩ ডিসম্বর, সোমবার পাওয়া যাবে। তবে তাঁদের অপেক্ষা আর বাড়েনি।
বলা যায়, শুধু তাঁর পরিজনরা না, অপেক্ষা করছিল গোটা তাকদা। তাঁর মরদেহ এলে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাকদা অপেক্ষা করছিল। দার্জিলিং থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে তাকদা। সেখানেই তাঁর বাড়ি।
সেখানকার রাস্তাঘাট বিশেষ ভাল নয় বলে জানা গিয়েছে। মরদেহ পৌঁছতে দেরি হওয়ার পরিবারের সদস্যরা উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ছুটিতে বাড়ি ফিরলেও সমাজসেবায় সময় কাটাতেন শহীদ জওয়ান সৎপাল রাই। বিশেষ করে যুব সমাজকে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুত করতেন এবং উৎসাহ দিতেন। পাশাপাশি কীভাবে সেনায় ভর্তি হওয়া যায়, সেই পথও দেখাতেন সৎপাল রাই। তাঁর প্রয়াণে ভেঙে পড়েছে তাকদা।