১ টাকায় ১ পোয়া দুধ। রোজ ৩০০ জনের কাছে দেওয়া হবে। বর্ধমানে পাল্লা রোড পল্লিমঙ্গল ক্লাবের উদ্যোগ শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি।
আংশিক লকডাউনে বিক্রি হচ্ছে না দুধ। বহুজাতিক সংস্থাগুলিও দুধ নেওয়া বন্ধ করেছে কোনও প্রকার নোটিশ ছাড়াই। এমনই অভিযোগ করছেন দুধ ব্যবসায়ীরা।
কয়েকদিন আগেই এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখান গোপালকরা। পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামের এক দুধ কোম্পানির গেটের সামনে।
স্থানীয় বাজারে ৬০-৭০টাকায় এক কেজি দই মিলছে। এর কারণ দুধের বিক্রি নেই। চাহিদা ঠেকেছে তালিনিতে। সে জন্যই কমে গিয়েছে দইয়ের দাম।
অন্যদিকে, আংশিক লকডাউনে বা এর আগে লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। অনেকের আয় কমে গিয়েছে। মানুষ তাঁর বাড়ির শিশুর দুধের সংস্থান করতে অপারাগ হচ্ছে এই মহুর্তে। কালঘাম ছুটে যাচ্ছে তাঁদের।
দুই সমস্যার সমাধান করতে একসঙ্গে করতে উদ্যোগী হল পল্লিমঙ্গল সমিতি। ওই ক্লাবের পক্ষে সন্দীপন সরকার জানান, স্থানীয় গোপালকদের অতিরিক্ত দুধ কিনে নিচ্ছেন। এ জন্য নূন্যতম দাম দিতে হচ্ছে। ন্য়ূনতম দাম বলতে তাদের উৎদানের খরচটুকু দেওয়া হচ্ছে।
তা কিনে নিয়ে হচ্ছে মাত্র ৪ টাকা প্রতি কেজি দরে। অর্থাৎ ১ টাকায় ১ পোয়া দুধ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। সমিতির প্রাঙ্গনে বিকেল সাড়ে ৪টে থেকে সাড়ে ৫টা অবধি মিলবে এই সুবিধা।
স্থানীয় শিশুরা যাতে এই করোনা কালে সুষম আহার পায় এবং গোপালদেরও এই অসুবিধা থেকে কিছুটা বের করে আনা যায়, তার জন্যই এই উদ্যোগ। স্থানীয় গোপালকদের কাছে থেকে দিনে ৭৫ কিলো দুধ কেনা হচ্ছে।
পুরো লকডাউনের পথে হাঁটতে চায় না রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই কথা জানিয়েছেন। এখন যেমন বিধিনিষেধ রয়েছে, তেমনই বজায় রাখতে চায় রাজ্য। যাতে মানুষের সমস্যা কমে। নবান্নে তিনি এমনই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা অনেক বিধিনিষেধ করেছি। লকডাউন না করে লকঢাউনের মতো, আচরণ, করি, হকারদের সময়। একদম লকডাউন করলে লোকে খেতে পাবে না। তাই আমরা একটা টাইম বেঁধে দিয়েছি। আমাদের মাস্ক পরতে হবে। হাত সাবান দিয়ে ধুতে হবে।