Ilish: বহু প্রতীক্ষার পর কলকাতা এল বাংলাদেশের ইলিশ। বুধবার রাতে বাংলাদেশ থেকে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত হয়ে ইলিশ বোঝাই লরি এ রাজ্যে ঢোকে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারের শুরু হয়েছে ওই ইলিশের বেচাকেনা।
২০১২ সালে শেখ হাসিনার সরকার ইলিশ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
এরপর ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলায় ইলিশ রফতানি বন্ধ ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার গত দু'বছর পর এ বছরেও পুজোর আগে উপহার হিসেবে বাংলাদেশের ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়।
সোমবার বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রক কলকাতায় ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর অনুমতি দেয়।
এ ব্যাপারে ৫২ জন মাছ আমদানীকারীকে ৪০ মেট্রিক টন করে মাছ এপার বাংলায় পাঠাবে বলে ঠিক হয়। সেই অনুযায়ী বুধবার রাতেই এ বছরে প্রথম বাংলাদেশের ইলিশের গাড়ি হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে ঢোকে।
১০ অক্টোবরের মধ্যে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন বাংলাদেশি ইলিশ মাছ এখানে ঢুকবে। তেমনই ঠিক হয়েছে।
বেশিরভাগ মাছের ওজন এক কেজি বা তার বেশি। নিলামে মাছের দাম ঠিক হবে। এমনি হয়ে আসছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, দাম বারোশো থেকে তেরোশো টাকা কেজি পর্যন্ত উঠতে পারে এই বাজারে। পরে এই মাছ ছড়িয়ে পড়বে কলকাতার সবকটি বড় বাজারে।
এ বছরে দিঘা, শংকরপুর, কাকদ্বীপ এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে সেভাবে ইলিশ আসেনি। যতটুকু ইলিশ ধরা পড়েছিল তা খোকা ইলিশ।
বাংলাদেশের ইলিশ ঢোকায় এবারে বড় ইলিশের ঘাটতি মিটবে। বাঙালির পাতে দেখা যেতে পারে পদ্মার রুপোলী শস্য।
বাংলাদেশের হাওড়া পাইকারি মাছ বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ বৃহস্পতিবার প্রথম একশো মেট্রিক টন এসেছে যদি আজকে প্রথম দিন।
তাই বাজারে মাছের দাম একটু বেশি রয়েছে। সকালেই শুরু হয়ে যায় নিলাম।
ছোট সাইজের ইলিশ বিকোয় ৭০০ টাকায়। আর বড় সাইজ ইলিশের দাম ছিল ১,২৩০ টাকা।
হোলসেল মার্কেটের রয়েছে যদিও খোলাবাজারে একটু দাম বেশি থাকবে।
এইবার আসার পর মাছের দাম কিছুটা কমবে। এমনই আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও মাছ আসবে। ফলে দাম আরও কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।