মানিকচকে গঙ্গা ভাঙন অব্যাহত। তীব্র আতঙ্কে রয়েছেন মানুষজন। তাঁদের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানিয়েও কাজ হচ্ছে না। ফুলহর ও গঙ্গা নদীর ব্যবধান বারোশো মিটার। মুছে যেতে পারে ভুতনির চর! এমনই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মানিকচকের ভুতনি অঞ্চলের কেশবতোলা ও কোশিঘাট এলাকা জুড়ে ব্যাপক ভাঙন চলছে দাবি মানিকচক সিপিআইএমের। এমনিতেই মানিকচক ভাঙন প্রবণ এলাকা। তার মধ্যে ভূতনি অঞ্চলে ব্যাপক ভাঙনের ফলে গঙ্গা নদীর সাথে ফুলহর নদীর দূরত্ব মাত্র বারশো মিটারে ঠেকেছে। এইভাবে ভাঙন চলতে থাকলে ভুতনি চর ভারতীয় মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে বলে দাবি মানিকচক সিপিআইএমের।
একটি প্রতিনিধি দল এলাকা পরিদর্শনে যান। ভুতনি তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৪টি বুথ নিয়ে গঠিত। লক্ষাধিক মানুষের বসবাস এই ভুতনি অঞ্চলজুড়ে। রাজ্য সরকার দিনের-পর-দিন কোটি কোটি টাকা জলে ফেলা ছাড়া কোনও কাজ করছেন না। প্রতি বছরই বন্যা এলে কোনও রকমে বালির বস্তা দিয়ে কাজ সেরে পালাতে চাইছে। কোনও স্থায়ী বন্দোবস্ত নজরে আসছে না।
পরিদর্শন শেষে জেলা সিটু সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহা জানান, গঙ্গা ভাঙন রোধের অতীতে কোনও কাজ হয়নি। সবই কাটমানিতে চলে গেছে। এইভাবে কাজ চলতে থাকে মূল গঙ্গা নদীর ধারা ফুলহর নদীতে গিয়ে মিশবে। কারণ ফুলহর ও গঙ্গা নদীর ব্যবধান মাত্র বারোশো মিটার রয়েছে। এরূপ হলে ভুতনি ও মানিকচক এর লক্ষাধিক মানুষ বন্যার কবলে পড়বে। এই নিয়ে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের নামছি।
তিনি জানান, আজ, সোমবার ৯ আগস্ট আমাদের মালদা জেলায় সমাবেশ রয়েছে সে মঞ্চ থেকে আমরা দাবি রাখতে চলেছি রাজ্য সরকারের কাছে। শিগগিরি গঙ্গা ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে এগোবে।
এদিকে, মালদার কালিয়াচকের ৩ নম্বর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় গঙ্গার ভয়াবহ ভাঙন। বিধ্বংসী ভাঙনে বৈষ্ণবনগরের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে বীরনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি বুথ। গৃহহীন বহু মানুষ। গঙ্গা ভাঙনে সর্বস্বান্ত মালদা কালিয়াচক-৩ নম্বর ব্লকের বীরনগর-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বহু এলাকার।
ভীমাগ্রাম এবং লালুটোলা গ্রামের ১৪০টি বাড়ি ইতিমধ্যেই গঙ্গা-গর্ভে বিলীন। আতঙ্কে বহু মানুষজন নিজেদের উদ্যোগে বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন। এই ভয়াবহ ভাঙনে বৈষ্ণবনগরের মানচিত্র থেকে মুছে যেতে চলেছে বীরনগর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার একটি গোটা বুথ।