তৃণমূল প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর। এলাকায় নির্মীয়মান সিসি রোডটি তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এলাকাবাসীর অভিযোগ তিনি ঠিকাদার সংস্থার কাছ থেকে তোলাবাজির টাকা না পেয়ে রাস্তার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
এই অভিযোগ থেকেই ক্ষোভ প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য মিজানুর রহমানের প্রতি। এলাকাবাসীর দাবি, দীর্ঘদিনের আন্দোলনের ফলে রাস্তা মিলেছে।
সেই রাস্তার কাজ কোনও মতেই বন্ধ হতে দেব না আমরা। তাঁরা রাস্তার কাজের জন্য বিডিও ও এলাকার বিধায়কদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে পঞ্চায়েত সদস্যকে না পেয়ে তার বাড়ির মূল গেটে জুতোর মালা ঝোলায় গ্রামবাসীরা। তাদের দাবি রাস্তার কাজে বাধা দেওয়া যাবে না।
জানা গিয়েছে, বংশীহারী ব্লকের মাহিপুর থেকে নূরপুর পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার ঢালাই রাস্তার কাজ শুরু হয় গত ১৭ জুন।
মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র নিজে গিয়ে কাজের উদ্বোধন করেন। মোট ৪৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয় ওই রাস্তার জন্য। ফলে এ কাজ কীভাবে কোনও স্থানীয় নেতা আটকাতে পারে তা বুঝতে পারছেন না এলাকাবাসী।
অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার এর কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা কাটমানি চায়। এই খবর জানাজানি হতেই আজ দুপুরে কয়েকশো গ্রামবাসী ওই নেতার বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে।
বাড়িতে কেউ না থাকায় বাড়ির দরজায় পড়ানো হয় জুতোর মালা। অবশ্য মিজানুর রহমানের দেখা পাওয়া যায়নি।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাস্তার কাজে কাটমানি খেতে চেয়েছেন ওই নেতা এবং কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কে।
গ্রামবাসীরা জানান বহু সাধনার ফসল এই রাস্তা। যে কোন মূল্যেই রাস্তা কাজ বজায় থাকুক এবং কাজের গুণগত মানে কোনও রকম গাফিলতি চান না তারা।
যে নেতার বহিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি স্থানীয় হাইস্কুলের বাংলার শিক্ষক। একজন শিক্ষক হয়ে এ কাজ সমর্থনযোগ্য নয় বলে দাবি এলাকাবাসীর।