Advertisement

পশ্চিমবঙ্গ

Sunderbans : চিংড়ি-কাঁকড়া-কাগজের প্লেট, ৩ মন্ত্রে ঘুরে দাঁড়াতে চায় সুন্দরবন

অভিজিৎ বসাক
  • সুন্দরবন,
  • 23 Sep 2021,
  • Updated 4:18 PM IST
  • 1/9

Sunderbans: আয়লার পর ইয়াস। ঘুর্ণিঝড় প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে সুন্দরবনকে। তারপর রয়েছে করোনা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, অতিমারীর ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সেখানকার বাসিন্দারা। 

  • 2/9

তাঁদের আরও সাহায্য করার জন্য সরকার এগিয়ে এসেছে। সঙ্গে পেয়েছে বেশ কিছু সংস্থাকে। সেখানে শুরু হয়েছে বিভিন্ন রকমের প্রকল্প।

  • 3/9

করোনা সঙ্কটের তাঁদের বিকল্প পথে জীবনযাপনের পথ দেখানো হচ্ছে। উদ্যোক্তাদের আশা, এর ফলে ২০ হাজার মানুষ উপকার পাবেন। 

  • 4/9

দক্ষিণ ২৪ পরগণা ফরেস্ট ডিরেক্টরেটের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজ এই কাজ শুরু করেছে। সুন্দরবনের প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষদের জন্য এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। সুন্দরবন হামেশাই ঝঞ্ঝার মধ্যে থাকে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বন্যপ্রাণীদের সঙ্গে মানুষের সংঘর্ষ ললেগেই আছে। তার মধ্য়ে করোনা যুক্ত হয়েছে।

  • 5/9

সেখানে একটি পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হয়েছে। ৪০টি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের স্বাবলম্বী করার যাত্রা শুরু হয়েছে। লস্করপুর-২, বিবেকানন্দ পল্লি, ঝড়খালি বাজার, ত্রিদিব নগর এবং পূর্ব গুড়গুড়িয়া সেই কাজ শুরু হয়েছে। তাঁদের দক্ষতা বাড়ানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। 

  • 6/9

কাগজের প্লেট তৈরির প্রকল্প
ঝড়খালি শুরু হতে চলেছে কাগজের প্লেট তৈরির প্রকল্প শুরু হবে। সেখানে কাজ করবে ১২টি স্বনির্ভর গোষ্ঠী। সেখানে যন্ত্র লাগানোর কাজ সারা হয়ে গিয়েছে। এখন শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণ। দিনে তৈরি হবে ৫ হাজার করে প্লেট। এর ফলে থার্মোকলের প্লেটের ব্যবহার কমানো যাবে। থার্মোকলের প্লেট ক্ষতিকর। এমনই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। সুন্দরবনে যাচতে থার্মোকল এবং প্লাস্টিকের ব্যবহার কম করা যায়, তা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার চেষ্টা করা হয়েছে।

  • 7/9

চিংড়ি-কাঁকড়া চাষ
সেখানে চিংড়ি এবং কাঁকড়া চাষের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতির হাল ফেরাতে তা খুব কাজে লাগতে পারে। সুন্দরবনের বাফার জোনে মাছ বা কাঁকড়া চাষ খুব একটা সহজ নয়। আর তাই সেখানকার বাসিন্দারা জঙ্গলের গভীরে যেতেন কাঁকড়া-চিংড়ি ধরতে। 

  • 8/9

দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডিএফও মিলন মণ্ডল বলেন, "আমাদের দফতরের তরফ থেকে এক অভিনব এক পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে বন্যপ্রাণ এবং মানুষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা কমবে। এই প্রকল্প শুরুর আগে আমরা সমীক্ষা করেছিলাম। আর তারপর এলাকা ভিত্তিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।"

  • 9/9

কলকাতা সোসাইটি ফর কালচারাল হেরিটেজের প্রতিষ্ঠাতা অধিকর্তা এবং সভাপতি সৌরভ মুখোপাধ্যায় জানান, "লকডাউনের পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্পের অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কাজ শুরুর আগে আমরা সমীক্ষা করেছিলাম।" তিনি জানান, কাজ শুরু হওয়ার পর আরও ৪০টি যন্ত্র বসানো হবে। এবং শ'খানেক পুকুর বেছে নেওয়া হয়েছে। যেখানে মাছ এবং চিংড়ি চাষ করা হবে। বছর ৫৬ লক্ষ টাকা উপার্জন হবে। সেই অর্থ পাবে এখানকার প্রান্তিক মানুষেরা।

Advertisement
Advertisement