পুজোতে এবার সরবে উপস্থিত ছিল বর্ষা। শোনা যাচ্ছিল, কালীপুজোতেও বাংলায় ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড়।
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে কালীপুজো ও দীপাবলি উৎসব। আলোর সেই উৎসব মাটি করে দিতে পারে ঘূর্ণিঝড় সিতরাং।
পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৮ অক্টোবর উত্তর আন্দামান সাগরে তৈরি হতে পারে ঘূর্ণাবর্ত। এর জেরেই উৎসবের বঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা।
এই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপে পরিণত হলে এর জেরে দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
২০ অক্টোবর নাগাদ এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। তবে এর জেরে কালীপুজোতে বৃষ্টি হবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।
যদিও ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (IMD) তরফে সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় নিয়ে কোনও সতর্কতা জানানো হয়নি এখনও। এমন কোনও সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রও দেখা যাচ্ছে না।
অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরে কোনও ঝড় কালীপুজোর মধ্যে বাসা বাঁধছে না। আইএমডির পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুপার সাইক্লোনের কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি, আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গ থেকে বিদায় নেবে বর্ষা। ফলে কালীপুজোর আগে বর্ষা বিদায় নিতে পারে দক্ষিণবঙ্গ থেকে। উত্তরবঙ্গ থেকেও ইতিমধ্যে বর্ষা প্রায় বিদায় নিয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার (উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া) আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। আগামী পাঁচদিন উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রারও তেমন হেরফের হবে না।
কলকাতা শহরে হালকা বৃষ্টি হতে পারে আগামী কদিন। তবে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা নেই। রবিবার শহরের আকাশ অংশত মেঘলা থাকবে। এদিন সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৩ ডিগ্রির আশেপাশে।
নভেম্বরের শুরু থেকেই হালকা শীতের আমেজ আসবে রাজ্যে। হেমন্তের আমেজ অনুভব করা যাবে।