আজ জগদ্ধাত্রী পুজোর অষ্টমী। আলোর মালায় সেজে উঠেছে হুগলি জেলার গঙ্গা তীরবর্তী শহর চন্দননগর।
চন্দননগর এবং কৃষ্ণনগর, এই দুই শহর বাংলার জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো সবচেয়ে বিখ্যাত।
চন্দননগর, মানকুণ্ডু এবং ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে গত বছর চন্দননগর কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে পুজো কমিটির সংখ্যা ছিল ১৭৭ টি। এবছর আরও ৩টি বারোয়ারি নতুন সংযোজন হয়ে পুজো কমিটির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮০ টি। চন্দননগর থানা এলাকায় রয়েছে ১৩৩ টি এবং ভদ্রেশ্বর থানা এলাকায় রয়েছে ৪৭ টি পুজো। এর মধ্যে ১০ টি বারোয়ারির জয়ন্তী বর্ষের পুজো রয়েছে।
চন্দননগরের পুজো প্রধানত তার সুবিশাল প্রতিমা ও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জার জন্য বিখ্যাত। থিমের বৈচিত্র্যও এখানে লক্ষণীয়। তবে শুধু চন্দননগরেই নয়, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তেও জগদ্ধাত্রী পুজো হয়।
চন্দননগর যেতে না পারলে বাড়িতে বসেই করে নিন জগদ্ধাত্রী দর্শন। থাকল কিছু সেরা পুজোর প্রতিমা।
বাগবাজার সর্বজনীন- প্রায় ২০০ বছরের কাছাকাছি পুরোনো এই পুজো কমিটির প্রতিমাগুলির উচ্চতা প্রায়শই গগনচুম্বী হয়।
পালপাড়া সর্বজনীন- এই ঐতিহ্যবাহী পুজোটির আলোকসজ্জা এবং প্রতিমার রূপ দর্শনার্থীদের দীর্ঘকাল ধরে মুগ্ধ করে আসছে।
হেলাপুকুর
সার্কাস মাঠ সর্বজনীন- চন্দননগরের নজরকাড়া পুজোর তালিকায় এটির নাম থাকে
সুভাষপল্লি সর্বজনীন জগদ্ধাত্রী কমিটি- এটি চন্দননগর স্টেশন থেকে মাত্র দুই মিনিটের পথ হওয়ায় দর্শনার্থীদের কাছে খুব জনপ্রিয়।
চন্দননগরের অন্যতম বিখ্যাত পুজো হল ‘চন্দননগর হেলাপুকুর সর্বজনীন’। স্বর্ণালঙ্কারে সজ্জিত দেবী এবং বাহন সিংহের থেকে চোখ ফেরানো দায়।
থিম পুজোর ভিড়ে স্বমহিমায় উজ্জ্বল ‘বোড় তালডাঙা’ পুজোটি। প্রতি বছরই প্রথা মেনে দেবীকে সাজানো হয় ডাকের সাজে।