Advertisement

বিশ্ব

September 11 attacks: ৯/১১ হামলার দুই দশক, ঠিক কী কী ঘটেছিল সেদিন, ফিরে দেখা...

সুমনা সরকার
  • কলকাতা,
  • 11 Sep 2021,
  • Updated 10:47 AM IST
  • 1/20

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ধ্বংস হয় পাশের আরেকটি ছোট ভবনও। হামলার শিকার হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। ভয়াবহ ওই হামলার ২০তম বার্ষিকী আজ।

  • 2/20

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। এদিন ছিনতাই করা চারটি যাত্রীবাহী বিমান দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গর্ব ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার বা টুইন টাওয়ার গুঁড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। ধ্বংস হয় পাশের আরেকটি ছোট ভবনও। হামলার শিকার হয় মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন। প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। ভয়াবহ ওই হামলার ২০তম বার্ষিকী আজ।

  • 3/20

ওই হামলা পুরো বিশ্বকেই বদলে দিয়েছে। আর ওই হামলার জবাব দিতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে ইতিহাসের দীর্ঘতম যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলে। হামলার জন্য আল কায়েদাকে দায়ী করে দলটির নেতা ওসামা বিন লাদেনের ঘাঁটি আফগানিস্তানে হামলা চালায় ওয়াশিংটন। ক্ষমতাচ্যুত করা হয় লাদেনের মিত্র তৎকালীন তালিবান সরকারকে। 
 

  • 4/20

দুই যুগ বা কুড়ি বছর আগে ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর দিনটি ছিল মঙ্গলবার। আমেরিকায় দিনটি এসেছিল প্রলয়ের মতো। তাবৎ বিশ্ব চমকে গিয়েছিল ঘটনার ভয়াবহতা, যা পাল্টে দিয়েছে পুরো পৃথিবীর রাজনৈতিক ও সামরিক নিরাপত্তার ধারণা। 

  • 5/20

বিশ্ববাসী টানটান উত্তেজনাকর লাইভে দেখেছিল, আমেরিকায় চারটি যাত্রীবাহী জেট বিমান ছিনতাই করে সেগুলো দিয়ে আঘাত হানা হচ্ছে নিউইয়র্কের দুটি আকাশচুম্বী ভবনে। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, ছিনতাইকারীরা ছোট ছোট দলে পূর্ব আমেরিকার আকাশপথ দিয়ে ওড়া চারটি বিমান একইসাথে ছিনতাই করে। তারপর বিমানগুলো দিয়ে নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটনের গুরুত্বপূর্ণ ভবনে আঘাত হানা হয়। হামলায় অংশ নেয়া দুটি বিমান বিধ্বস্ত করা হয় নিউইয়র্কে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের টুইন টাওয়ার ভবনে।
 

  • 6/20

প্রথম বিমানটি আঘাত হানে নর্থ টাওয়ারে আমেরিকার পূর্বাঞ্চলীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে। দ্বিতীয় বিমানটি সাউথ টাওয়ারে বিধ্বস্ত হয় এর অল্পক্ষণ পর, সকাল ৯টা ৩ মিনিটে। সঙ্গে সঙ্গে দুটি ভবনেই আগুন ধরে যায়। ভবন দুটির উপরতলায় মানুষজন আটকা পড়ে। শহরের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে বিশাল ধোঁয়ার কুণ্ডলী।

  • 7/20

দুটি টাওয়ার ভবনই ছিল ১১০ তলা। মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে দুটি ভবনই বিশাল ধুলার ঝড় তুলে মাটিতে ভেঙে গুঁড়িয়ে পড়ে আর তৃতীয় বিমানটি রাজধানী ওয়াশিংটনের উপকণ্ঠে প্রতিরক্ষা বিভাগের বিশাল সদর দপ্তর পেন্টাগনের পশ্চিম অংশে আঘাত হানে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে।

  • 8/20

সকাল ১০টা ৩ মিনিটে চতুর্থ বিমানটি আছড়ে পড়ে পেনসিলভেনিয়ার এক মাঠে। ছিনতাই হওয়া চতুর্থ বিমানের যাত্রীরা ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর পর সেটি পেনসিলভেনিয়ায় বিধ্বস্ত হয়। ধারণা করা হয়, ছিনতাইকারীরা চতুর্থ বিমানটি দিয়ে ওয়াশিংটন ডিসিতে ক্যাপিটল ভবনের ওপর আঘাত হানতে চেয়েছিল জঙ্গিরা।

  • 9/20

৯/১১ হামলায় সব মিলিয়ে মারা গিয়েছিলেন ২,৯৭৭ জন। এই হিসাবের মধ্যে ১৯ জন ছিনতাইকারী অন্তর্ভুক্ত নেই। নিহতদের বেশিরভাগই ছিল নিউইয়র্কের লোক। সর্বকনিষ্ঠ নিহতের বয়স ছিল দু'বছর। নাম ক্রিস্টিন লি হ্যানসন। তার বাবা মায়ের সাথে সে একটি বিমানের যাত্রী ছিল। নিহত সবচেয়ে বয়স্ক  ব্যক্তির নাম রবার্ট নর্টন। তার বয়স ছিল ৮২। তিনি ছিলেন অন্য আরেকটি বিমানে এবং তার স্ত্রী জ্যাকুলিনের সাথে তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন।
 

  • 10/20


প্রথম বিমানটি যখন ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আঘাত করে, তখন ভবনের  ভেতরে আনুমানিক ১৭ হাজার ৪০০ জন লোক ছিল। নর্থ টাওয়ারের যে অংশে বিমান আঘাত করে, তার উপরের কোন তলার মানুষই প্রাণে বাঁচেনি। তবে সাউথ টাওয়ারে যেখানে বিমান আঘাত করে, তার উপরের অংশ থেকে ১৮ জন প্রাণ নিয়ে বেরুতে পেরেছিল। হতাহতের মধ্যে ৭৭টি ভিন্ন ভিন্ন দেশের মানুষ ছিলেন। নিউইয়র্ক শহরে যারা প্রথম ঘটনাস্থলে জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ছুটে যান, তাদের মধ্যে ৪৪১ জনের মৃত্যু হয়।

  • 11/20


৯/১১ হামলায় হাজার হাজার মানুষ আহত হন, যারা পরে নানাধরনের অসুস্থতার শিকার হন। যেমন দমকলকর্মীদের অনেকে বিষাক্ত বর্জ্যের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। নিউইয়র্কে হামলার স্থান, যেখানে টুইন টাওয়ার বিধ্বস্ত হয়েছিল, সেই 'গ্রাউন্ড জিরো'র ধ্বংসস্তুপ পরিষ্কার করতে সময় লেগেছিল আট মাসেরও বেশি। ওই স্থানে এখন তৈরি হয়েছে একটি যাদুঘর এবং একটি স্মৃতিসৌধ। ভবনগুলো আবার নির্মিত হয়েছে, তবে ভিন্ন নক্সায়। সেখানে মধ্যমণি হিসাবে নির্মিত হয়েছে 'ফ্রিডম টাওয়ার', যা উচ্চতায় আগের নর্থ টাওয়ারের চেয়েও বেশি। নর্থ টাওয়ারের উচ্চতা ছিল ১,৩৬৮ ফুট আর নতুন ফ্রিডম টাওয়ার ১,৭৭৬ ফুট উঁচু। পেন্টাগন পুনর্নিমাণে সময় লেগেছিল এক বছরের কিছু কম। ২০০২ সালের আগাস্টের মধ্যে পেন্টাগনের কর্মচারীরা আবার তাদের কর্মস্থলে ফিরে যান।
 

  • 12/20


৯/১১ ঘটনার পর বিশ্বে 'সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ'র ঘোষণা করে আমেরিকা ও তার মিত্ররা। ওই হামলার এক মাসেরও কম সময় পর তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডাব্লিউ বুশ আফগানিস্তান আক্রমণ করেন আল-কায়দাকে নিশ্চিহ্ন করতে এবং ওসামা বিন লাদেনকে খুঁজে বের করতে। 

  • 13/20

 তবে গত ২০ বছরে পরিবর্তন এসেছে সেই দৃশ্যপটেও। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ২০তম বার্ষিকীর কয়েকদিন আগেই আফগানিস্তান ছাড়ে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে আবারও কাবুলের কুরসি ছিনিয়ে নেয় তালিবান।
 

  • 14/20

এমন পরিস্থিতিতেই এবার ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার ২০তম বার্ষিকী পালন করছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিন বিনম্র শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় নিহতদের স্মরণ করবে  পুরো জাতি। সাজানো হয়েছে নিউ ইয়র্কে ওই ঘটনায় নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিসৌধ।

  • 15/20

  • 16/20

  • 17/20

নিহতদের স্মরণে আলোকসজ্জার আয়োজন করেছে নিউ ইয়র্কের ৯/১১ মেমোরিয়াল অ্যান্ড মিউজিয়াম। স্থানীয় সময় শনিবার সূর্যাস্তের সময় ব্যাটারি পার্কিং গ্যারেজের ছাদ থেকে টুইন টাওয়ারের আদলে সাত হাজার ওয়াটের ৮৮টি বাতি জ্বালানো  হবে। 

  • 18/20

এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং, ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার, মেট্রোপলিটন অপেরা, লিঙ্কন সেন্টার প্লাজা এবং নিউ ইয়র্ক হিস্ট্রিক্যাল সোসাইটিসহ নিউ ইয়র্কের সুউচ্চ ভবনগুলোর ছাদে আলোকসজ্জা করা হবে।
 

  • 19/20


হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এবারের বার্ষিকীতে সেদিন আক্রান্ত তিন স্থানের সবকটি পরিদর্শনে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ফার্স্ট লেডিও তাঁর সঙ্গে থাকবেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং তার স্বামী ডগলাস এমহফ পেনসিলভানিয়ার শ্যাঙ্কসভিলে নিহতদের স্মরণে আয়োজিত এক পৃথক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখান থেকে পরে তারা পেন্টাগনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে মিলিত হবেন।
 

  • 20/20

এদিকে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ার হামলা বা ৯/১১ হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের তদন্ত সংশ্লিষ্ট নথিপত্র প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হামলায় ভুক্তভোগী ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩ সেপ্টেম্বর এই ঘোষণা করেন  তিনি।
 

Advertisement
Advertisement