Advertisement

বিশ্ব

Israel Iran War 2025: আরও একটি যুদ্ধ শুরু, হঠাত্‍ ইরানে হামলা করল কেন ইজরায়েল? একেবারে পরমাণু কেন্দ্রে

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • তেহরান,
  • 13 Jun 2025,
  • Updated 9:44 AM IST
  • 1/11

শুক্রবার ভোররাতে যা ঘটল, তা বিশ্বের ভূরাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় রয়ে যাবে। অবশেষে মধ্যপ্রাচ্যেও শুরু হয়ে গেল যুদ্ধ। ইজরায়েল ইরানের উপর বড়সড় সামরিক হামলা চালাল। রাজধানী তেহরান-সহ একাধিক পরমাণু ও সামরিক ঘাঁটিতে একযোগে বোমা বর্ষণ করেছে ইজরায়েলি সেনা। 

  • 2/11

‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’ নাম দিয়ে এই অভিযান চালানো হয়। শুধু ঘাঁটিই নয়, ইরানের সামরিক প্রধান ও পরমাণু বিজ্ঞানীরাও এই হামলার শিকার হয়েছেন বলে দাবি করছে ইজরায়েল। 
 

  • 3/11

প্রশ্ন উঠছে—এই যুদ্ধের শুরুটা কেন? এতটা উত্তেজনার নেপথ্যেই বা কী? ইতিমধ্যেই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খোমেইনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বড়সড় শাস্তি ভুগতে হবে ইজরায়েলকে। আন্তর্জাতিক অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সিও নিশ্চিত করেছে, ইরানে পরমাণু ঘাঁটিতেই হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল।

  • 4/11

গত কয়েক বছর ধরেই ইজরায়েল বারবার বলে এসেছে, ইরান গোপনে পরমাণু বোমা বানানোর চেষ্টা করছে। তেহরানের নাতাঞ্জ ও ফোর্ডোর মতো পরমাণু কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হচ্ছে—এমন অভিযোগ তুলে এসেছে ইজরায়েল। সম্প্রতি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরাসরি বলেছেন, ইরানের কাছে ৯টি পরমাণু বোমা বানানোর মতো ইউরেনিয়াম মজুত রয়েছে।
 

  • 5/11

নেতানিয়াহুর ভাষায়, 'আমরা যদি এখন কিছু না করি, তাহলে আগামী প্রজন্ম থাকবে না।' অর্থাৎ ইজরায়েল মনে করছে, ইরান যদি সত্যিই পরমাণু অস্ত্রে সজ্জিত হয়, তাহলে সেটা ইজরায়েলের অস্তিত্বের পক্ষে বিপজ্জনক হবে। তাই আগে থেকেই ইরানকে ‘নিষ্ক্রিয়’ করা দরকার।
 

  • 6/11

শুক্রবার ভোররাতে ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ইরানের বিভিন্ন ঘাঁটি লক্ষ্য করে একযোগে হামলা চালায়। তেহরান শহরের উপকণ্ঠে বিকট বিস্ফোরণ হয়। ধ্বংস হয় নাতাঞ্জ পরমাণু কেন্দ্র, যেখানে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, তেহরানে, ফোর্ডো ও ইসফাহানে থাকা অন্যান্য সামরিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কেন্দ্রেও হামলা হয়। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর (IDF) মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই আক্রমণ ছিল সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত, যৌথ ও সুনির্দিষ্ট। লক্ষ্য ছিল ইরানের পরমাণু অস্ত্র এবং সন্ত্রাসবাদে জড়িত সামরিক ঘাঁটি।
 

  • 7/11

টাইমস অফ ইজরায়েলের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই হামলায় ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ডের প্রধান কমান্ডার হুসেইন সালামি নিহত হয়েছেন। এছাড়াও, সেনা প্রধান মোহম্মদ বাঘেরি এবং একাধিক পরমাণু বিজ্ঞানীও প্রাণ হারিয়েছেন বলে দাবি করছে ইজরায়েল। যদিও ইরান সরকার এই মৃত্যুর কথা এখনও পুরোপুরি স্বীকার করেনি, তবে তাদের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বিস্ফোরণের খবর নিশ্চিত করেছে।
 

  • 8/11

ইরান এখনই পাল্টা হামলার ঘোষণা না করলেও, দেশজুড়ে সামরিক প্রস্তুতি তুঙ্গে। তেহরান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। হিজবুল্লাহ বা ইয়েমেনের হুথি বাহিনীর মতো ইরানের মিত্র গোষ্ঠীগুলিও পাল্টা আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 

  • 9/11

এই হামলার পর ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়িই ইরানের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন হামলার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে ইজরায়েলি জনসাধারণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইজরায়েলের সেনাপ্রধান ইয়াল জামির জানিয়েছেন, 'আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। যদি কেউ আমাদের আঘাত করতে আসে, তাহলে তাকে তার মূল্য দিতে হবে।'
 

  • 10/11

এই হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অংশ নেয়নি বলেই সাফ জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও বলেন, 'ইজরায়েল একতরফা পদক্ষেপ নিয়েছে। আমরা কেবলমাত্র আমাদের সেনাবাহিনী ও আঞ্চলিক মিত্রদের সুরক্ষা দিচ্ছি। ইরানের উচিত নয় আমেরিকান স্বার্থে হামলা চালানো।' তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এই অভিযানের জন্য প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'ইরানকে পরমাণু বোমা বানানো থেকে আটকানোর নেতৃত্বের জন্য আমি তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানাই।'
 

  • 11/11

ইরাক তার আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশ হাই অ্যালার্টে জারি আছে। তেলের দাম অস্থির। বিশ্বজুড়ে শেয়ারবাজারে পতন শুরু হয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয়েই সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এখন প্রশ্ন একটাই—এই যুদ্ধ কত দূর গড়াবে? ইজরায়েল আপাতত বলছে, ‘যতদিন প্রয়োজন, অভিযান চলবে।’ অর্থাৎ, এই অভিযান একদিনে শেষ হচ্ছে না। অন্যদিকে, ইরানের প্রতিক্রিয়াও হয়তো শুধু সময়ের অপেক্ষা। পরমাণু অস্ত্রের ছায়ায় দাঁড়িয়ে গোটা মধ্যপ্রাচ্য এক ভয়ানক অনিশ্চয়তার মুখে।

Advertisement
Advertisement