চলতি বছরের শুরুতেই অ্যামাজনের জেফ বেজোসকে ছাপিয়ে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হয়েছিলেন টেসলা ও স্পেস এক্সের সিইও তথা কর্ণধার ইলন মাস্ক। তবে খুব বেশিদিন জায়গা ধরে রাখতে পারেননি মাস্ক।
বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় আবারও এক নম্বরে উঠে এসেছেন ধনকুবের বেজোস।
অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস পৃথিবীর ধনীতম মানুষ। আর তিনিই ফেলে আসা বছরে দান করার বিষয়েও ছিলেন সবচেয়ে এগিয়ে। একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে, পৃথিবীর সর্বোচ্চ দাতাদের তালিকায় সবার উপরে আছেন বেজোস। তিনি ২০২০ সালে দান করেছেন ১ হাজার কোটি মার্কিন ডলার।
অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোনে কে আড়ি পাতল সেই নিয়ে গত বছরের শুরুতে তোলপাড় হয় মার্কিন মুলুক । হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে এনক্রিপটেড ভিডিও ফাইল পাঠিয়ে জেফ বেজোসের গোপন তথ্য হাতিয়ে নিয়েছেন মোহাম্মদ বিন সালমান, এমন অভিযোগই সামনে আসে। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল দাবি করে, জেফ বেজোসের গোপন তথ্য আগেও সামনে এসেছিল, আর সেটা এনেছিলেন তার বান্ধবী ও প্রেমিকা লরেন স্যানচেজ। নিজেদের ব্যক্তিগত মেসেজ চালাচালি প্রকাশ্যে এনে ফেলেছিলেন তিনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের দাবি ছিল , জেফের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত কথোপকথন ভাই মাইকেল স্যানচেজকে পাঠিয়েছিলেন লরেন। মাইকেল সেই চ্যাট বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছে ফাঁস করে দেন। জেফ-লরেনের পরকীয়া সামনে চলে আসে। শুধু নিজেদের গোপন চ্যাট নাকি আরো কিছু তথ্যও সামনে এনেছিলেন লরেন তা নিয়ে কানাঘুষো চলছেই।
জেফ বেজোস ও তার বান্ধবী-প্রেমিকা লরেনের কিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। লরেন নাকি জেফের শার্টলেস ছবিও পাঠিয়েছিলেন ভাই মাইকেলকে। সেই সময় লরেনের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে জেফ দাবি করেছিলেন, কিছু সংবাদমাধ্যম তাকে বদনাম করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরও করেছিলেন তিনি।
এবার বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এবং অ্যামাজনের মালিক জেফ বেজোস তার বান্ধবীর ভাইয়ের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসাবে ১২.৩ কোটি টাকা দাবি করেছেন। আসলে, বেজোসের বান্ধবী লরেন স্যানচেজ ভাই মাইকেল স্যানচেজ তাঁর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন। কিন্তু মাইকেল মামলায় হেরে যান। এই কারণে, বেজোস এখন মাইকেলের কাছে দাবি করেছেন যে তিনি আইনী ফি হিসাবে যে অর্থ ব্যয় করেছেন তা মিটিয়ে দেওয়ার।
২০১৯ সালের এপ্রিলে ম্যাকেনজি বেজসের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় জেফ বেজোসের। ৯৯৩ সালে বিয়ে হয় ম্যাকেনজি এবং জেফ বেজস-এর। ১৯৯৪ সালে সিয়াটেলে তাঁদের বাড়ির গ্যারেজ থেকে পথ চলা শুরু অ্যামাজনের। বিবাহবিচ্ছেদের ফলে আমাজনের প্রায় তিন হাজার ছ’শো কোটি ডলার শেয়ারের মালিক হয়েছিলেন ম্যাকেনজি। এরপরেই বেজোসের ব্যক্তিগত মুহুর্তের ছবি সামনে চলে আসে। আর সেই ছবি ফাঁসের জন্য অভিযোগের আঙুল ওঠে মাইকেল স্যানচেজের দিকে।
ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেজোস শুক্রবার বলেছিলেন যে মাইকেল স্যানচেজ তার বোনকে (বেজোসের বান্ধবী) এবং তার সাথে প্রতারণা করেছে। বেজস অভিযোগ করেছেন যে মাইকেল ট্যাবলেটগুলিতে প্রায় ১৪ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ব্যক্তিগত কথোপকথন ফাঁস করেছিলেন। এদিকে মাইকেল স্যানচেজের আইনজীবী টম ওয়ারেন বলেছেন যে আইনী ফি প্রদানের যে আবেদন বেজোস করেছেন তা অনৈতিক। এর আগে ওয়ারেন বলেছিলেন, জেফ বেজোসের বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় হেরে যাওয়ার পরে মাইকেল স্যানচেজ উচ্চ আদালতে আপিল করতে চান।