Advertisement

বিশ্ব

Mystery Island Of Italy Poveglia: ১ লক্ষ ৬০ হাজার লোককে একসঙ্গে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল, আজও নাকি এখানে তারাই থাকে

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 29 Oct 2022,
  • Updated 11:57 AM IST
  • 1/9

পৃথিবীতে অনেক সুন্দর আইল্যান্ড বা দ্বীপ রয়েছে। যেখানে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক ঘুরতে যান। পৃথিবীর যে প্রান্তেই হোক না কেন, পর্যটকরা ঠিক সুন্দর জায়গা খুঁজে বের করেন। কিন্তু এই পৃথিবীতেই এমন আইল্যান্ড রয়েছে যেখানে আপনি চাইলেও যেতে পারবেন না। কারণ এই দেশে সরকার নিজেরা মনে করে যে ওই আইল্যান্ড অত্যন্ত ভয়ংকর এবং এখানে ভূতের গতিবিধি এবং সুপারন্যাচারাল অ্যাক্টিভিটি রয়েছে। সেই দ্বীপটি ইতালির অধীন পোভগ্লিয়া আইল্যান্ড (Poveglia Island) এই আইল্যান্ডের যাতায়াতের উপর ইতালি তারা সরকারের ব্যান রয়েছে।

  • 2/9

কী রয়েছে এই আইল্যান্ডে?

এই আইল্যান্ডের নাম প্রচলিতভাবে রাখা হয়েছে আইল্যান্ড অফ ডেথ (Island Of Death)। এই আইল্যান্ড ইতালির ভেনিস এবং লিডো শহরের মধ্যে ভেনেটিয়ান লেগুনের উপর রয়েছে। যাকে একটি ছোট খাল দু ভাগে ভাগ করে রেখেছে। কোনও সময় এখানে মানুষ থাকত এবং ঘুরতে ফিরতে পর্যটকরাও যেতেন।

  • 3/9

কিছু এমন ঘটনা ঘটেছে যখন এই আইল্যান্ডের কোন বাইরের মানুষের ঢোকার অনুমতি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বলা হয় আইল্যান্ডের রহস্য থেকে পর্দা উন্মোচনের জন্য কেউ যদি সেখানে যান, তার বেশিরভাগই সেখান থেকে আর ফিরে আসেন না। আসলে ষোড়শ শতাব্দীতে ইটালিতে প্লেগ রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। যার কারণে ইটালির বহু লোক এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। গোটা ইউরোপেই এই প্রভাব বাড়তে থাকে। যার প্রকোপ ইতালিতে চরম আকার নিয়েছিল।

  • 4/9

এই আইল্যান্ডকে বানানো হয়েছিল কোয়ারান্টাইন স্টেশন

কারণ প্লেগ রোগের একজন আরেকজনের সঙ্গে সংস্পর্শে আসলে দ্রুত ছড়ায় এ কারণে ইতালির সরকার প্লেগ-এ আক্রান্ত সমস্ত রোগীদের Poveglia Island-এ শিফট করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ এই আইল্যান্ড একেবারেই আইসোলেটেড ছিল। মূল ভূখণ্ড থেকে দূরে অথচ কাছাকাছি। এতে এটিকে প্লেগ কোয়ান্টিন সেন্টার রূপে ব্যবহার করা শুরু হয়। এটাই নয়, যখন এই রোগে মানুষ যারা মারা যাচ্ছিলেন, তাঁদেরও ওই আইল্যান্ড এই কবর দেওয়া হয়।

ধীরে ধীরে এই জায়গা রোগীদের সংখ্যায় বাড়তে থাকে এবং একটা সময় এমন আসে যে লক্ষ লক্ষ সংখ্যায় রোগী এখানে থাকতে শুরু করেন। কোয়ারেন্টাইন স্টেশন হওয়ার কারণে এখানে রোগীদের সর্বাধিক ৪০ দিন পর্যন্ত রাখা হতো। কিন্তু পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়ে যায় যেখানে একবার আইল্যান্ড যাদের আনা হচ্ছিল তাদের আর ফেরত নিয়ে যাওয়ার হচ্ছিল না। তারা অনেকেই এখানে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন।

  • 5/9

১ লাখ ৬০ হাজার লোককে জীবন্ত যে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এখানে। কিছু ঐতিহাসিকের মতে এই আইল্যান্ডে একসঙ্গে প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার লোককে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। যাতে ওই রোগ আর বাড়তে না পারে। আক্রান্ত ওই সমস্ত রোগীকে একসঙ্গে এই ভয়ংকরভাবে পুড়িয়ে দেওয়া ইতিহাসের নজিরবিহীন ঘটনা। প্লেগের তাণ্ডবের কিছু সময় পর কালাজ্বর রোগ ফের ইতালিতে কড়া নাড়তে থাকে এবং আরও একবার ইতালিতে এই ওষুধহীন রোগে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। প্লেগের মতোই ইতালিতে কালাজ্বরেররও কোনও চিকিৎসা ছিল না। অনেক লোকই রোগে মারা যান। যার কারণে এই রোগে মৃত্যু হওয়া লোকেদের ডেড বডি এই আইল্যান্ডে নিয়ে গিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই কারণে এই জায়গাটিকে পৃথিবীর মধ্যে নরক বলে বর্ণনা করা হয়।

  • 6/9

১৯২২ সালে এখানে বানানো হয় মেন্টাল হসপিটাল

লক্ষ লক্ষ লোকের মৃত্যুর সাক্ষী থাকা এই আইল্যান্ডকে ১৯২২ সালে মানসিক হাসপাতাল হিসেবে তৈরি করা হয় পর। এরপর থেকে এখানে শুরু হয় ভুতুড়ে ঘটনা। এই হসপিটালে থাকা অনেক স্টাফ এবং রোগীরা দাবি করেন, তাঁরা এখানে ভুতুড়ে আনাগোনা এবং আত্মার উপস্থিতি অনুভব করেছেন এই আইল্যান্ডে প্যারানরমাল দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর বলে মনে করা হয়। যাঁরা এই অ্যাক্টিভিটির সঙ্গে জড়িত, তাঁরা দাবি করেন এখানে রাতের বেলায় জীবন্ত এবং মৃত লোকেদের মধ্যে পার্থক্য করা যায় না। এখানে থাকা ডাক্তাররা জানান যে, রাতে এখানে ভয়ঙ্কর সব আওয়াজ হতে থাকে এবং এখানে অতৃপ্ত আত্মাগুলির অসুস্থ রোগীদের নিজেদের কবলে নিয়ে নেয়।

  • 7/9

রোগীদের মৃত্যু হতে শুরু করে

চিকিৎসকদের জন্য সেই সময়ে এটি বোঝা মুশকিল ছিল যে কোনও ব্যক্তি মানসিক রোগে উল্টোপালটা কাজ করছেন নাকি তাঁদের মধ্যে ভূত সওয়ার হয়েছে। এরই মধ্যে অনেক চিকিৎসক এবং রোগীদের রহস্যময়ভাবে মৃত্যু হয়। এ কারণে মেন্টাল হসপিটাল খুব দ্রুত বন্ধ করে দিতে হয়। এরপরে অনেকেই এই রহস্য উদঘাটন করতে এই দ্বীপে পৌঁছান। কিন্তু বেশিরভাগই আইল্যান্ড থেকে ফিরে আসেননি। যে দু'একজন লোক কোনওক্রমে ফিরে আসতে পেরেছেন, তাঁরা শুধু এটুকুই বলেছেন যে আইল্যান্ড আমাদের পৃথিবীর জীবন্ত নরক। এখানে কোন মানুষ নিজের ইচ্ছায় যায়। কিন্তু সেখান থেকে ফেরা আত্মাদের মর্জি অনুযায়ী নির্ভর করে। এই আত্মারা ওই আইল্যান্ডে বসবাস করছে।

  • 8/9

হন্টেড প্লেস এর লিস্ট এ তৃতীয় নম্বর এটি

১৮ একর এই আইল্যান্ডে ভুতুড়ে জায়গা লিস্টে পৃথিবীতে তৃতীয় নম্বরে রাখা হয়েছে। যেখানে ইউরোপের নাম্বার ওয়ান হন্টেড আইল্যান্ড হিসেবে একে বলা হয়। এর রহস্যময়ী কারণের জন্য ইটালির সরকারই আইল্যান্ডকে পাবলিকের জন্য পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে। এখানে দ্বীপে তো বটেই, দ্বীপের আশপাশেও ইতালির মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে ভয় পান। কারণ মাছ ধরতে জাল ফেললেই তারা শুধুমাত্র মানুষের হাড় পান।

  • 9/9

ব্রিটিশ গবেষকের দাবি 

এক ব্রিটিশ গবেষকের অনুভবের ঘটনা প্রকাশ হয়েছে দ্য সান পত্রিকায়। একটি খবর অনুযায়ী সরকারের পারমিশনের পর দুই ব্রিটিশ সম্প্রতি এই আইল্যান্ডে গিয়েছিলেন। তাঁরা এই আইল্যান্ডের কিছু ভিডিও এবং ছবি শেয়ারও করেন। তার মধ্যে ওই মেন্টাল হসপিটালে রাখা সমস্ত জিনিস দেখানো হয় তাঁরা জানিয়েছেন যে ওই আইল্যান্ডে যাওয়া বাস্তবে একটি ভয়ংকর অনুভব ছিল। যখন আমরা সেখানে যাচ্ছিলাম ইতালিতে আমাদের লোকাল ট্যাক্সি ড্রাইভারও এটি শুনে ভয় পেয়ে যান এবং ওই আইল্যান্ডে কেন যাচ্ছি জিজ্ঞাসা করেন। পুলিশই নয়, শুধু সাধারণ লোককেও এই আইল্যান্ডের নাম শুনে ভয় পেয়ে যান।

অত্যন্ত ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, ওই ব্রিটিশ গবেষক ব্রিটিশ গবেষক মেট জানিয়েছেন যে যখন আপনারা সেখানে ঘুরতে থাকবেন, তখন আপনাকে একটা ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সামনে পড়তে হবে। সেখানে লোকেদের জ্বালানো হয়েছিল কিছু লোকেদের মৃত অবস্থা এমনিই ফেলে দেওয়া হয়। সেই জায়গাগুলি দেখে মনে হয় যে মাটির চেয়ে বেশি মৃতদেহ রয়েছে সেখানে। লোকেদের জ্বালানোর পরে পরিষ্কার করা হয়নি। লাশগুলি এমনিই ফেলে দেওয়া হয়। যখন আমরা সেখানে ছিলাম, আমরা ঘণ্টা বাজার আওয়াজ শুনেছি, যা অত্যন্ত ভয়ংকর। যা বাস্তবে আমাদের বিচলিত করে দেয়। এখানে এত বছর ধরে কখনও কেউ যায়নি। এ কারণে এখানে গাছপালা এমন মনে হচ্ছে যে, আমরা কোনও হরর মুভির শুটিং দেখতে এসেছি। নিশ্চিতভাবে এখানকার অনুভব আমরা কোনওদিন ভুলবো না।

Advertisement
Advertisement