নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির সরকারি বাসভবনের বাইরে রাতভর উত্তেজনা। গতকাল সন্ধ্যা থেকেই তাঁর বাসভবন ঘিরে নিহতদের পরিবারের লোকজন স্লোগান দিতে শুরু করেন। সকাল থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁরা।
কিন্তু রাত গড়াতেই ক্ষোভ উথলে ওঠে। স্লোগান দিতে দিতে বসে পড়েন ধর্নায়। পরিস্থিতি সামলা দিতে কার্কির বাসভবনের বাইরে বাড়ানো হয় কড়া নিরাপত্তা।
নেপালে সাম্প্রতিক হিংসায় বহু মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২১ জন ছিলেন আন্দোলনকারী। জখমের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১,৩০০।
আগুনে পুড়ে খাক হয়ে যায় সংসদ ভবন থেকে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। সেই অগ্নিঝড়ে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি।
ওলির ইস্তফার পর ৭৩ বছরের সুশীলা কার্কির হাতে নেপালের দায়িত্ব আসে। আপাতত Gen Z প্রজন্মের ভরসার মুখ তিনিই।
প্রধানমন্ত্রী হয়েই প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে ৮ সেপ্টেম্বর পুলিশের দমনপীড়নের ঘটনায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি অলির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। শনিবার দিনভর তিনি Gen Z প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলেন।
এখন চোখ সবার নতুন মন্ত্রিসভা গঠনের দিকে। সূত্রের খবর, সুশীলা কার্কি ইতিমধ্যেই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছেন। সেই তালিকা পাঠানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির দফতরে। সবচেয়ে আলোচ্য নাম নেপাল বিদ্যুৎ দফতরের প্রাক্তন প্রধান কুলমান ঘিসিং।
বিদ্যুৎ খাতে সংস্কারের জন্য নেপালে রীতিমতো বিখ্যাত এই আমলা। নেপালের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া ও দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি বন্ধ করার পিছনে তাঁরই কৃতিত্ব বলে মনে করা হয়। এবার সেই কৃতি আমলার হাতেই দেওয়া হতে পারে শক্তি মন্ত্রকের দায়িত্ব।
এছাড়াও ওমপ্রকাশ আর্যলকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, রমেশ্বর খানালকে অর্থমন্ত্রী এবং বালানন্দ শর্মাকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদে বসানো হতে পারে।
আপাতত সুশীলা কার্কির সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ Gen Z র ক্ষোভ নীরসন। অশান্ত দেশকে কি শান্তির পথে ফেরাতে পারবেন তিনি? তার জবাব সময়ই দেবে।