কয়েক দশক পর এই প্রথম একদলীয় সরকার গঠন হতে চলেছে নিউজিল্যান্ডে। বিপুল ভোটে জয়ী হলেন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন।
জেসিন্ডাযে ফের ক্ষমতায় আসছেন তা মোটামুটি স্পষ্ট ছিল। তবে প্রত্যাশার চেয়েও ভোটারদের কয়েকগুণ বেশি মর্থন পেলেন জেসিন্ডা। পরিসংখ্যান বলছে ৭২ শতাংশ গণণা শেষে দেখা যাচ্ছে তাঁর দল মোট ভোটের ৪৯ শতাংশ ইতিমধ্যে ঘরে তুলে নিয়েছে। , লেবার পার্টির ঝুলিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ ভোট। বিরোধী ন্যাশনাল পার্টি পেয়েছে মাত্র ২৭ শতাংশ ভোট।
১৯৩০ সালের পর এত বিপুল হারে ভোট আর পায়নি লেবার পার্টি। মহামারী করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জেসিন্ডা দারুণ সফল। জুন মাসের ৯ তারিখ নিউজিল্যান্ড নিজেদের করোনামুক্ত দেশ হিসেবে ঘোষণা করে৷ কারণ, ২৯ মে-এর পর থেকে সে দেশে কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি৷আর সেই জন্যই জনগণ ফের তাঁকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বিছে নিয়েছেন বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা দাবি করছেন।
১৯৯৬ সালে সমানুপাতিক ভোটিং ব্যবস্থা গ্রহণের পর নিউজিল্যান্ডে এই প্রথম কোনো দল এত বেশি আসনে জয়ী হল।
নিউজিল্যান্ডের এখনকার নির্বাচনী ব্যবস্থায় কোনো দলের পক্ষে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন দুরূহ। কিন্তু আর্ডের্নের এখন যে জনপ্রিয়তা তাতে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল।
২০১৯ সালের মার্চে ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডের্ন যেভাবে সন্ত্রাসবাদীদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন এবং দেশের মুসলিম বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন, তা সকলের প্রশংসা কুঁড়িয়েছিল।
সেপ্টেম্বরেই নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তবে করোনা আবহে তা একমাস পিছিয়ে যায়। স্থানীয় সময়ে শনিবার সকাল ৯টায় শুরু হয় নির্বাচন। ভোটগ্রহণ চলে স্থানীয় সময়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এরপর ভোট গণমনা শুরু হতেই জেসিন্ডার জনপ্রিয়তার ঢেউয়ে ভেসে যায় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি।
এর আগে গত ৩ অক্টোবর থেকে আগাম ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। সেখানেও ১০ লাখের বেশি মানুষ তাদের রায় জানিয়েছেন। প্রতিনিধি বেছে নেয়ার পাশাপাশি শনিবার নিউ জিল্যান্ডের ভোটাররা স্বেচ্ছামৃত্যুর বৈধতা দেওয়া এবং গাঁজা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত দুটো গণভোটেও অংশ নেয়।