আমেরিকায় শাসক বদলের পর প্রথমবার সেদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
৩ দিনের মার্কিন সফরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা ছাড়াও রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভাষণ থেকে শুরু করে কোয়াড দেশভূক্ত রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠক, একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মোদীর।
এয়ার ইন্ডিয়ার বোইয়িং ৭৭৭ ভিভিআইপি এয়ারক্রাফ্ট-এ বিমানে এদিন ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ মার্কিন মুলুকে পৌঁছন মোদী। গত বছরই বেয়েইং ৭৭৭ ভিভিআইপি এয়ারক্রাফ্টকে সরিয়ে মোদীর জন্য নতুন বোয়েইং ৭৭৭ এয়ারক্রাফ্ট আনা হয়।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন ওয়াশিংটনের জয়েন্ট বেস অ্যান্ড্রুতে অবতরণ করেন, তখন সেখানে উপস্থিত বিপুল সংখ্যক ভারতীয়রা তেরঙ্গা উত্তোলন করে তাঁকে স্বাগত জানান।
লোকে মোদী মোদী বলে চিৎকার করছিল। এয়ারবেস থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর পেনসিলভানিয়া এভিনিউতে হোটেল উইলার্ডে যান।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বৃহস্পতিবার পাঁচটি বড় কোম্পানির সিইও -কোয়ালকম (Qualcomm), অ্যাডোব(Adobe), ফার্স্ট সোলার, জেনারেল অ্যাটমিক্স এবং ব্ল্যাকস্টোন -এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। এদিন উইলার্ড হোটেলে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সাথেও সাক্ষাৎ করবেন। আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের সঙ্গেও বৈঠক করবেন মোদী।
২৪ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শুক্রবার ভারতীয় সময় রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মোদী।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর আগে, প্রধানমন্ত্রী বিমানের ভিতরে একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে সফরকালে বিমানের ভিতর কাজে ব্য়স্ত থাকতে দেখা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে।
ট্যুইটারে পোস্ট করা ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বিমানে বসে আছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশের আসনে রাখা একটি চাকাওয়ালা সুটকেস। তার উপর রাখা বেশ কিছু ফাইলপত্র। আর মোদী মগ্ন তাতে চোখ বোলাতে । হাতে কলম। ট্যুইটের ক্যাপশনে মোদী লিখেছেন, ‘লম্বা বিমানযাত্রার আরও একটি অর্থ কাগজপত্রে চোখ বুলিয়ে নেওয়া।’
কোভিড পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর গত পৌনে দু'বছরে এই প্রথম দূরদেশ সফরে মোদী। মাঝে অবশ্য বাংলাদেশ সফরে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
কাজে মগ্ন মোদী ছবি পোস্ট করতেই নেটে তা নিমেষে ভাইরাল হয়ে যায়।
এদিকে ২০১৯ সালে ৩৭০ ধারা লাগু করা সংক্রান্ত বিতর্কের জেরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিমানকে পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেওয়া হয়নি । সেবার মোদী আমেরিকা ও জার্মানি যাচ্ছিলেন। এদিকে সরকারি সোর্সকে উল্লেখ করে সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, মোদীর বিমান আমেরিকায় যাওয়ার জন্য পাকিস্তানের আকাশসীমা ব্যবহার করতে চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল ভারতের তরফে। ইসলামাবাদ এব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছে। অন্যদিকে তার ঠিক আগেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানেরও শ্রীলঙ্কা যাওয়ার কথা ছিল। ইসলামাবাদের তরফেও ভারতের আকাশসীমা ব্যবহারের জন্য অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ভারতে সেব্যাপারে অনুমতি দেয়।