Advertisement

বিশ্ব

Ukraine Drone: সস্তা ‘স্টিং’ আর ‘বুলেট’-এ ধাক্কা, ইউক্রেনের দেশি ড্রোনে নাস্তানাবুদ রাশিয়ার মহার্ঘ্য শাহেদ

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • কিয়েভ,
  • 22 Dec 2025,
  • Updated 5:23 PM IST
  • 1/11

১) গভীর রাত। ইউক্রেনের এক বিশেষ ড্রোন ইউনিট নীরবে প্রস্তুতি নিচ্ছে। হালকা স্ট্যান্ডে বসানো হচ্ছে অ্যান্টেনা ও সেন্সর। হার্ড কেস খুলে বের করা হচ্ছে মনিটর আর কন্ট্রোল সিস্টেম। যুদ্ধক্ষেত্রে নামার আগে সব কিছু নিখুঁতভাবে যাচাই চলছে।

  • 2/11

২) এই প্রস্তুতির কেন্দ্রে রয়েছে এক নতুন অস্ত্র ইন্টারসেপ্টর ড্রোন ‘স্টিং’। দেখতে অনেকটা উড়ন্ত থার্মসের মতো। ইউক্রেনের ঘরোয়া প্রযুক্তিতে তৈরি এই ড্রোন এখন রাশিয়ার হামলার বিরুদ্ধে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠছে।

  • 3/11

৩) ড্রোন ইউনিটের কমান্ডার, যিনি ‘লোই’ নামে পরিচিত, জানান, রাশিয়া যে দ্রুত বদলে ফেলা সুইসাইড ড্রোন ব্যবহার করছে, স্টিং সেগুলির মোকাবিলায় বেশ কার্যকর। কম খরচে বেশি ক্ষতি এই নীতিতেই এগোচ্ছে ইউক্রেন।

  • 4/11

৪) প্রতিদিন রাতেই ইউক্রেনের শহর ও বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর উপর হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে কিয়েভকে পুরো এয়ার ডিফেন্স কৌশল বদলাতে হয়েছে। আকাশরক্ষায় এখন ভরসা হয়ে উঠছে সস্তা কিন্তু কার্যকর ড্রোন-কিলার।

  • 5/11

৫) ইউক্রেন এখন এমন ইন্টারসেপ্টর তৈরি করছে, যাদের দাম মাত্র এক হাজার ডলার পর্যন্ত। ২০২৫ সালেই এই ড্রোনগুলি পরীক্ষামূলক পর্যায় ছেড়ে দ্রুত গণউৎপাদনে চলে এসেছে। আধুনিক যুদ্ধের ছবিটাই বদলে যাচ্ছে।

  • 6/11

৬) বিশেষজ্ঞদের মতে, কার্যকর প্রতিরক্ষার জন্য বিপুল উৎপাদন, দ্রুত উদ্ভাবন এবং সস্তা প্রযুক্তিকে পুরনো ব্যবস্থার সঙ্গে জুড়ে দেওয়াই আসল চাবিকাঠি। ‘ওয়াইল্ড হর্নেটস’ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী স্টার্টআপ স্টিংয়ের মতো মডেল তৈরি করছে।

  • 7/11

৭) একই সঙ্গে এসেছে আরও একটি ইন্টারসেপ্টর ‘বুলেট’। এই ড্রোনগুলি প্রচণ্ড গতিতে শত্রুপক্ষের ড্রোনের দিকে ছুটে গিয়ে সরাসরি ধাক্কা মারে। পাইলটরা মনিটর দেখে বা ফার্স্ট-পার্সন ভিউ গগলস পরে এগুলি চালান।

  • 8/11

৮) এখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল খরচের হিসেব। জেনারেল চেরি স্টার্টআপের আন্দ্রি লাভরেনোভিচ জানান, যে ড্রোনগুলি তারা ধ্বংস করছে, সেগুলির দাম ১০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ ডলার পর্যন্ত। ফলে রাশিয়ার আর্থিক ক্ষতি বিপুল।

  • 9/11

৯) লাভরেনোভিচ বলেন, রাশিয়া ইরানের নকশায় তৈরি শাহেদ সুসাইড ড্রোন ব্যবহার করছে। এগুলির নানা সংস্করণ রয়েছে। কোথাও জ্যামার, কোথাও ক্যামেরা, কোথাও আবার টার্বোজেট ইঞ্জিন। ফলে এটা একটানা উদ্ভাবনের লড়াই।

  • 10/11

১০) ওয়াশিংটনের সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালিসিসের প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক ফেদেরিকো বোর্সারি মনে করেন, এই সস্তা ইন্টারসেপ্টর ড্রোন ইউক্রেন ও ইউরোপের অ্যান্টি-ড্রোন ব্যবস্থায় অত্যন্ত মূল্যবান সংযোজন।

  • 11/11

১১) তাঁর কথায়, কম দাম আর বেশি গতিশীলতার কারণে অনেক বেশি লক্ষ্য রক্ষা করা সম্ভব। তবে এগুলো কোনও ‘ম্যাজিক অস্ত্র’ নয়। সেন্সর, দ্রুত কমান্ড সিস্টেম ও দক্ষ অপারেটরের উপরই সাফল্য নির্ভর করে। আগামী দিনে স্বয়ংক্রিয়, এআই-চালিত ড্রোনই যুদ্ধক্ষেত্রে সৈনিকদের জীবন বাঁচাবে, এমনটাই আশা।

Advertisement
Advertisement