Pandaveswar Firing: বিজেপি নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। রবিবার রাতে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকার কুমারডিহির ঘটনা। এদিন এই ঘটনায় এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসকদলের দাবি, ভোটের আগে সাজিয়ে এমন কাজ করার চেষ্টা হচ্ছে। এ নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
১২ এপ্রিল আসানসোলে উপনির্বাচন
মঙ্গ্লাবার, ১২ এপ্রিল আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন রয়েছে। এদিন বিকেল ৫টায় শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার। নির্বাচনের দু'দিন আগে কেন্দ্রে এক বিজেপি নেতার গাড়িতে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
বিজেপি নেতার দাবি
বিজেপি মিডিয়া সেলের জেলা আহ্বায়ক জিতেন চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, নির্বাচনী প্রচার শেষ হওয়ার পর তিনি পাণ্ডবেশ্বরের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে কথা বলছিলেন। সেখান থেকে চারচাকা গাড়িতে করে ফেরার সময় কুমারডিহি এলাকায় দুর্বৃত্তরা তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
আরও পড়ুন: R Madhavan-কে ফ্যান বললেন 'ড্যাডি', 'আঙ্কল বলেই ডাকো সোনা', জবাব তাঁর
আরও পড়ুন: টাটা-বিড়লার এই ২ শেয়ার মালামাল করে দিয়েছে, ২,৭০০ শতাংশ রিটার্ন
তিনি বলেন, "পাণ্ডবেশ্বর থেকে ফিরছিলাম। কুমারডিহির কাছে নেমেছি। তখন গাড়ির সামনে চলে আসে। আর সঙ্গে সঙ্গেই গুলি চালায়। প্রথম রপাউন্ড যখন ফায়ার করে আমি তো চমকে যাই। এত জোর কানে শব্দ হয়। আমি তো স্টিয়ারিং ছেড়ে দিই। আমি কোনও রকম গাড়ি ফার্স্ট গিয়ারে চালাই। আমাকে যখন গুলি মারছে, আমাকে মারার চেষ্টা করেছে।"
তাঁর অভিযোগ, গাড়ির ডান দিকের সামনের কাচে একটি গুলি লাগে। মোট ৩ রাউন্ড গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার পরই তারা অভিযোগ দায়ের করতে উখদা ফান্ডিতে পৌঁছায়। তবে যে এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে সেটি পাণ্ডবেশ্বর থানার অন্তর্গত। উখদা ফান্দি থানায় একই মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: 'নিউ ইয়ারে আমি খাইয়ে দেব,' বিহারে বিষ মেশানো খাবার দিয়ে স্ত্রীকে খুন
আরও পড়ুন: কাঁচা বাদাম এবার ভোজপুরিতে, রাকেশ মিশ্রার ভিডিও VIRAL
কে এই ঘটনা ঘটিয়েছে জানতে চাইলে জিতেন চ্যাটার্জি বলেন, আমি বিজেপির সঙ্গে যুক্ত। পরের দিনই ভোট। তাই আমি মনে করি এটা বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাজ।
তৃণমূলের পাল্টা দাবি
আসানসোলের লাউদোহার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সৃজিত মুখোপাধ্যায় দাবি করেন, বিজেপি নেতার ওপর হামলা হয়েছে বলে শুনছি। দু'দিন পর ভোট। ভোটে বাজিমাত করার চেষ্টা ছাড়া আর কিছু না। সাজিয়ে করার চেষ্টা করছে। যদি হয়ে থাকে, আমি পুলিশকে বলছি উপযুক্ত তদন্ত করে অ্যারেস্ট করতে। যেই করে থাকুক না কেন। কিন্তু এগুলো মিথ্যে কথা। বাজার গরম করার কথা। কারণ এখন বিজেপি কোনও কর্মী-সমর্থককে পাচ্ছে না। আজ নিজে সাজিয়ে এই জিনিস করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন: বাংলায় নয়া COVID-বিধি, বার-রেস্তোরাঁ কতক্ষণ খোলা থাকবে?