Gupta brothers arrested: দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে যাওয়া গুপ্তা ব্রাদার্স (Gupta brothers) সোমবার ইউএইতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। রাজেশ গুপ্তা Rajrsh Gupta এবং অতুল গুপ্তা (Atul Gupta), দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) পূর্ব রাষ্টপতি জ্যাকব জুমার (Jacob Juma) শাসনকাল কোটি কোটি টাকার আত্মসাতের (Money Laundering) অভিযোগ রয়েছে। তাদের ইন্টারপোলের (Interpole) সাহায্যে ধরা হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা সরকারের তরফে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার জানিয়েছে ইউএইতে রাজেশ গুপ্তা এবং এই দুই ভাইকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে।যদিও এটা পরিষ্কার নয় যে এদের আরেক ভাই অজয় গুপ্তা (Ajay Gupta) গ্রেপ্তার হয়েছে কি না।
গুপ্তা ব্রাদার্স এর উপর কী অভিযোগ রয়েছে?
গুপ্তা ব্রাদার্স এর উপর অভিযোগ রয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার পূর্ব রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমার সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল। এই সম্পর্কের আর্থিক ফায়দা তুলে তারা সিনিয়র লেভেলের অ্যাপোয়েন্টমেন্ট দিতেন। যার মধ্যে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছেন। অথরিটি-এর বক্তব্য যে ২০১৮ সালে গুপ্তা পরিবার নিয়ে সাউথ আফ্রিকা ছেড়ে দুবাই চলে যান। কারণ তারা আফ্রিকান কারেন্সি, সরকারি অফিসের মাধ্যমে লুটপাট করেছিলেন।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যখন এর তদন্ত শুরু হয় তখন দক্ষিণ আফ্রিকার তদন্তকারী সংস্থার সিইও Wayne Duvenhage অভিযোগ করেন যে আফ্রিকা ছাড়ার আগে গুপ্তা ভাইয়েরা ১৫ বিলিয়ন রেন্ড (আফ্রিকান মুদ্রা) তছরূপ করেছিলেন।
ইন্টারপোল গুপ্তা ব্রাদার্স এর বিরুদ্ধে ফের নোটিশ জারি করেছিল
আমেরিকার এবং ইউকে তাদের দেশে প্রবেশ করার উপরে গুপ্তা ভাইদের উপর প্রতিবন্ধকতা জারি করে দিয়েছিল। তথ্য অনুযায়ী গুপ্তা পরিবার ২০১৮ সালের সাউথ আফ্রিকা থেকে পালিয়ে যায়। এই সময় তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জ্যাকব জুমার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। জনতার দাবি, তাকে সরিয়ে সিরিল রামাফোসাকে রাষ্ট্রপতি বানানো হোক।
এখন গুপ্তা ভাইয়েদের দ্রুত সাউথ আফ্রিকা নিয়ে আসা হচ্ছে। আফ্রিকা এবং এর মধ্যে কোন রকম প্রত্যর্পণ চুক্তি ছিল না। কিন্তু জুন ২০২১ এ একটি সমঝোতা করে নেওয়া হয়।
সাহারানপুর এর বাসিন্দা ছিলেন গুপ্তা পরিবার
গুপ্তা পরিবার ভারতের সাহারানপুরের বাসিন্দা। তারা ১৯৯০ এর আশপাশের সাউথ আফ্রিকায় একটি জুতোর দোকান খোলেন। এরপর পরিবার সেখানে গিয়ে সেটেল হয়ে যায়। পরিবার আইটি, খনন কোম্পানিও খোলে। এখন তাদের মধ্যে বেশিরভাগ বিক্রি হয়ে গিয়েছে অথবা বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
ব্যাঙ্ক অফ বরোদা নাম জড়িয়েছে
পুরো ঘটনায় ব্যাঙ্ক অফ বরোদার নাম এসেছে। জানা গিয়েছে যে যখন সাউথ আফ্রিকাতে তাদের যখন ব্যাংকের খাতা খোলা বন্ধ হয়ে যায়, তখন ব্যাঙ্ক অফ বরোদা তাদের সাহায্য করে। যদিও পরে ব্যাঙ্ক অফ বরোদা সাউথ আফ্রিকায় নিজেদের কাজকর্ম বন্ধ করে দিয়েছে।