একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন
বিরোধীদের একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। তার জন্য এখন থেকেই কৌশল তৈরি করতে হবে বিরোধী দলগুলোকে নিয়ে। বৈঠকে এমনই বার্তা দিলেন ইউপিএ চেয়ারপারসন সনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি টানা কয়েকদিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরোধিতা করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে একতা দেখিয়েছে বিরোধীরা, তাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে বলে সনিয়া গান্ধী মত প্রকাশ করেন।
এক থাকতে হবে
এ জন্য সকলকে এক হয়ে একই ইস্যুতে একই মনোভাবাপন্ন হয়ে এগোতে হবে বলেও তিনি এদিন বার্তা দেন। সনিয়া দেবী এদিন বলেন, আমাদের এমন একটা সরকার গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে যেখানে স্বাধীনতা এবং মানুষের মূল্যবোধের গুরুত্ব বুঝবে। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার কোনও বিকল্প নেই বলেও তিনি এদিন মন্তব্য করেন।
নিজেদের স্বার্থ সরিয়ে কাজ করতে হবে
তিনি বলেন আমাদের প্রত্যেকটি দলের আলাদা আলাদা রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা আছে। কিন্তু দেশের হিতার্থে আমাদের সমস্ত বাধ্যবাধকতা ঝেড়ে ফেলে আগামী কয়েক বছরের এক হয়ে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালিয়ে যেতে হবে। ভারতের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস পরবর্তী সময়ে এই একসঙ্গে কাজ করার নতুন সূচনার জন্য সবচেয়ে আদর্শ এবং উপযোগী সময়।
মমতার পরামর্শে গুরুত্ব
এদিনের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কিছু প্রস্তাব ইউপি চেয়ারপারসনের সামনে তুলে ধরেন। তাঁর মত গুরুত্ব সহকারে আলোচনা ও সমর্থন করেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন। তার মধ্যে, মানুষকেই নেতৃত্ব দানের জন্য এগিয়ে আসার বিষয়টি স্পষ্ট করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। কে নেতা সেটা এ মুহুর্তে মনে রাখার দরকার নেই।
তৃণমূলনেত্রীর দাবি
সবাই মিলেই নেতৃত্ব দিতে হবে বলে প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সনিয়া গান্ধী ও তার পক্ষে সমর্থন করেন বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে প্রত্যেকটি বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আসতে হবে বলে এ দিন আলোচনা হয়। পাশাপাশি এই ধরনের বৈঠকে জানা কংগ্রেসের সঙ্গে সহযোগী নয়, সেই সব দলগুলোকেও যারা বিজেপির বিরোধী তাদেরও আমন্ত্রণ জানানোর ওপর জোর দেওয়া হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সি এবং সংস্থাগুলিকে অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনকে অপব্যবহার করে বাংলায় কাজ করানো হচ্ছে বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বৈঠকে আলোচনা করেন।
একাধিক ইস্যুতে একমত বিরোধীরা
পাশাপাশি সবার জন্য ভ্যাকসিনেশন দ্রুত সম্পন্ন করা উচিত। কেন্দ্রের এই নিয়ে চাপ সৃষ্টি করার পর আলোচনা হয়। পেট্রোল ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দাম কমানো নিয়ে আলোচনা কথা বলা হয়। বেসরকারিকরণ করা, সংস্থাগুলিকে ফের সরকারি করণে করার ওপর জোর দিতে তারা চাপ দেবে বলে জানা গিয়েছে।