scorecardresearch
 

'আন্দোলন চলবে,' বলছেন টিকায়েত, কী বলছেন বিরোধীরা?

কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণাতেও বিশ্বাস করতে চাইছেন না কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাকেশ টিকাইট যেমন জানিয়ে দিয়েছেন, কিছুতেই তাঁরা এখন আন্দোলন প্রত্য়াহার করবেন না। অন্যদিকে ভোট রাজনীতির জন্যই এই সিদ্ধান্ত, দাবি তৃণমূলের।

Advertisement
ছবি-পিটিআই, ফাইল ছবি ছবি-পিটিআই, ফাইল ছবি
হাইলাইটস
  • প্রধামন্ত্রীকে বিশ্বাস নয় রাকেশ টিকাইটের
  • রাজনীতি আছে দাবি, সুখেন্দুশেখরের
  • রাহুল গান্ধীর অভিনন্দন কৃষকদের

গুরু পূর্ণিমার দিন বড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়ে দিয়েছেন, তিনটি কেন্দ্রীয় আইন প্রত্যাহার করা হবে। তারপরই খুশির হাওয়া দেশে। বিশেষ করে কৃষক সম্প্রদায়ের যাঁরা এক বছরের বেশি সময় ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলেন, তাঁরা বিজয় উৎসবে মেতে উঠেছেন। নভেম্বর মাসেই আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বাস নয় !

যদিও আইন বাতিল নিয়ে এখনই বিশ্বাস করতে চাইছেন না কৃষকরা। কৃষক আন্দোলনের অন্যতম মুখ রাকেশ টিকাইট যেমন জানিয়ে দিয়েছেন, কিছুতেই তাঁরা এখন আন্দোলন প্রত্য়াহার করবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। রাকেশ বলেছেন, যতদিন না পর্যন্ত আইন বাতিলের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাচ্ছে, ততদিন আন্দোলন প্রত্যাহার করা হবে না। যতই প্রধানমন্ত্রী কৃষকদের বাড়ি ফিরে যেতে অনুরোধ করুন না কেন। 

দুটি দাবি এখনও পরিষ্কার নয়

আন্দোলনকারী কৃষকনেতারা স্পষ্ট করেছেন, তাঁরা মূলত দু'টি দাবি নিয়ে প্রতিবাদ করছেন: কৃষি আইনগুলি বাতিল এবং এমএসপির নিশ্চয়তা। কৃষি আইন প্রত্যাহারের ঘোষণার পর কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, সরকার তাঁদের একটি দাবি মেনে নিয়েছে ৷ তবে এখনও আরও একটি দাবি নিয়ে কেন্দ্র কিছু বলেন। এদিন তিকাইত স্পষ্ট করে নিজেদের আন্দোলনের ভবিষ্যত প্রসঙ্গে জানাতে টুইট করে লেখেন, 'আন্দোলন ফিরিয়ে নেওয়া হবে না। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় থাকব যেদিন সংসদে কৃষি আইন বাতিল করা হবে। এমএসপি ছাড়াও কৃষকদের অন্যান্য সমস্যা নিয়েও সরকারের কথা বলা উচিত।'

আইন বোঝাতে পারেননি প্রধামন্ত্রী !

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অবশ্য আইন ভুল ছিল কি না, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি শুধু বলেন, দেশবাসীর কাছে, কৃষকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি তাঁদের কৃষক আইন নিয়ে বোঝাতে পারিনি। তাই আইন প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।

Advertisement

এর পিছনেও প্রোপাগান্ডা !

যদিও এর পিছনেও কেন্দ্র সরকারের আড়ালে দলীয় প্রোপাগান্ডা রয়েছে বলে মনে করছে বিরোধীদের অনেকে। 'সামনে ৫ রাজ্যে নির্বাচন, তাই এই সিদ্ধান্ত' নিয়েছে কেন্দ্র। কৃষিআইন প্রত্যাহার নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল নেতারা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুভেচ্ছা

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো কৃষকদের অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাঁদের নিয়েও শোক প্রকাশ করেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কৃষকদের শক্তি প্রমাণিত, প্রত্য়েক কৃষককে তাঁদের লড়াইয়ের জন্য় অভিনন্দন জানাই। গণতন্ত্রের শক্তি আবার প্রমাণিত।

তৃণমূলের পাল্টা দাবি

কেন্দ্রের বোধদয় হয়েছে, কৃষি আইন প্রত্যাহার নিয়ে বলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।জনগণের জয় হয়েছে, বললেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানান, সামনের বছর ৫ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। সেখানে বিজেপি পরাস্ত হবে। সেই ভয়ে জবাবদিহির ভয়ে বিজেপি এখন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এটা মানুষের জয়।

রাহুল গান্ধী

কৃষকদের সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সামনে মাথা নোয়াতে বাধ্য হল কেন্দ্র, ট্যুইট করে জানিয়েছেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী।

 

 

Advertisement