মোদী সরকারের সময় কি বিরোধীদের জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে? সে ব্য়াপারেই মতামত দিলেন শাসক-বিরোধীদলের প্রতিনিধিরা। মঙ্গলবার কলকাতায় ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট ২০২২ অনুষ্ঠানে। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল- বিরোধীতার সময় একমত্য দরকার।
বিজেপি সাংসদ অপরাজিতা সারঙ্গি বলেন, অমৃতকালে রয়েছি। সময়ের আগে ভাবতে হবে। বিরোধিতা থাকবে। মোদীর ভাল কাজের অনেক বিরোধিতা করা হয়েছে। আমরা ঐকমত্য তৈরি করতে চাই।
সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, বিরোধীদের কাজ হল মানুষের ইস্যু তুলে ধরা। দায়িত্বশীল হিসেবে আমরা করি। একটা সেশন বেকার হয়ে গিয়েছিল ২জি বা অন্য কোনও ইসুতে। তারা বলেছিল, বিরোধিতা গণতন্ত্রের অধিকার। কাউকে দোষ দিচ্ছি। কী করে ঐকমত্য আসব, সেটা দেখার। এমন নয় যে ঐকমত্য হয় না। জিএসটি নিয়েই তো হয়েছে। সময় পায় না বিরোধীরা। আগে ১৫০ দিন সংসদ হত। সারা বছর সংসদ চলে অনেক দেশে। ১৬০ দিনের বেশি। ইউকে-তে ২০ দিন বরাদ্দ থাকে বিরোধীদের জন্য। তারা জায়গা পায়। বিল নিয়ে আমাদের বলা হয় না। বিরোধীদের সঙ্গে কথা বলতে চায় না শাসকদল। অটলবিহারীর সময় এমন ছিল না। প্রণব মুখোপাধ্যায়, অরুণ জেটলি, সুষমা স্বরাষকে দেখেছি। তাঁরা অন্য দলের সঙ্গে কথা বলতেন।
এ ব্য়াপারে অপরাজিতা বলেন, সরল করে ফেলবেন না। তথ্য এবং পরিসংখ্যান দেখুন। ১৪তম লোকসভা থেকে ১৭তম লোকসভা দেখুন। ফল অনেক বেড়েছে। ১৭তম লোকসভা খুব ভাল কাজদ করেছে, বলেছেন স্পিকার ওম বিড়লা। গভীর রাতেও আলোচনা হয়েছে। বিরোধীরা যাতে কথা বলতে পারেন, তার চেষ্টা হয়। কৃষি আইন নিয়ে সবাইকে আলোচনায় ডাকা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: যেন সিনেমার দৃশ্য! ক্রেতা সেজে বেআইনি হুক্কা বারে অভিযানে পুলিশ, ধৃত ৫
আরও পড়ুন: আকাদেমি প্রাঙ্গনে বুধবার থেকে শুরু লিটল ম্য়াগাজিন মেলা
আরও পড়ুন: 'ওঁকে মালা পরে ঘুরতে বলো,' শুভেন্দুকে কটাক্ষ পার্থর
সুখেন্দু, ২০২১ সালের বাজেট সেশনে ১১টা বিল ১০ মিনিটে আলোচনা হয়েছে লোকসভায়।
অসমের কংগ্রেস সাংসদ প্রদোৎ বরদলুই বলেন, সংসদের কাজের সময় কমে গিয়েছে। বিরোধীরা সময় পাচ্ছে না। বিরোধীদের সময় দিতে হবে। না হলে তো তারা শোরগোল করবেই। আগে বিরোধীদের কথা শোনা হত। বিরোধীদের সম্মান দিতে হবে। চিনা আগ্রাসন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যায় না। প্রদোৎ বলেন, অনেক কিছু বুলডোজ করতে চান।
অপরাজিতা, আমাদের অনেক কিছু করতে হবে। হাতে সময় কম। এমন মনে হয় না? আমরা ঐকমত্যে বিশ্বাসী। সরকার চালাতে চাই না শুধু। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
কংগ্রেস সাংসদ আবদুল খালেক বলেন, মেজরিটি রয়ছে, সংখ্যা রয়েছে। তাই পাশ করে দিল। তারপর আবার ফিরিয়ে নিল। একই অবস্থা অগ্নিপথ নিয়েও। ৩টে বাজেট সেশন হয়ে গেছে। শেষ দিনের অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ত্রিপল তালাক নিয়ে জলদি ছিল। সবরীমালা নিয়ে অন্য অবস্থা। মহারাষ্ট্র নিয়ে পক্ষে গেলে তখন স্বাগত জানাবেন। নূপুর শর্মা নিয়ে কোনও কিছু হলে কথা নেই। ৩৭০ ধারা জলদিতে বাদ দিয়ে দিয়েছে।
অপরাজিতা বলেন, এমন নয় তাদের সময় দেওয়া হয় না।
সুখেন্দু বলেন, গণতন্ত্রে যেমন ভাবে শাসকদলকে বাছা হয়, তেমন ভাবেই বিরোধীদলকেও বাছা হয়।