scorecardresearch
 

ভোটার লিস্ট সংশোধন হবে ১১ নভেম্বর থেকে, বললেন মমতা

পুজোর উৎসবের মরশুম শেষ হলেই ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ১১ নভেম্বর থেকে ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হবে বলে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ঠিকমতো ভোটার লিস্ট সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন করতে নির্দেশ দেন তিনি।

Advertisement
ভোটার লিস্ট সংশোধন ১১ নভেম্বর থেকে ভোটার লিস্ট সংশোধন ১১ নভেম্বর থেকে
হাইলাইটস
  • ভোটার লিস্ট সংশোধন ১১ নভেম্বর থেকে
  • সংশোধনের কাজ চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত
  • দলের কর্মীদের নতুনদের নাম তুলতে সাহায্যের নির্দেশ মমতার

পুজোর উৎসবের মরশুম শেষ হলেই ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হয়ে যাবে। বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর থেকে ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ১১ নভেম্বর থেকে ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হবে বলে মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন। চলবে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত। ঠিকমতো ভোটার লিস্ট সংশোধন, পরিমার্জন, সংযোজন করতে নির্দেশ দেন তিনি।

১৭ বছর হলেই আবেদন

মমতা বলেন, এর উপর নির্ভর করে পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা, পুর নির্বাচনগুলি করা হবে। ফলে সাবধানে এবং গুরুত্ব সহকারে এই ভোটার লিস্টের কাজ করতে নির্দেশ দেন তিনি। ১৮ বছর বয়সী সবাই যেন নাম নথিবদ্ধ করেন, তার জন্য় তিনি এলাকার দলীয় কর্মীদের নজর রাখার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি নতুন নিয়মে ১৭ বছর বয়স হলেই নাম নথিভুক্ত করার জন্য নির্দিষ্ট ফর্মে আবেদন করা যাবে বলে তিনি জানান।

আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের দাম-ব্যাঙ্কিং, আজ থেকে কিছু নিয়মে বদল, সরাসরি প্রভাব পকেটে

বছরের চারবার করে ভোটার লিস্ট সংশোধন হবে

বছরের চারবার করে ভোটার লিস্ট সংশোধন হবে বলে তিনি এদিন জানান। কবে কবে তা করা হবে তাও তিনি জানিয়েছেন। ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই, ১ অক্টোবর ভোটার লিস্ট সংশোধন হবে। তার মাঝে তাঁদের নাম জমা ও অন্য়ান্য প্রক্রিয়া চলবে।

উৎসবের মরশুম কেটে গেলেই রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে। তখন আর সে ভাবে কর্মীদের একত্র করার সুযোগ না-ও মিলতে পারে বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ। তাই পঞ্চায়েত ভোট প্রসঙ্গে প্রস্তুতি নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব বেশ কিছু কথা দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন । এই বৈঠকে সাংসদ, বিধায়কদের সঙ্গে ডাকা হয়েছিল। জেলা, সভাপতি, ব্লক সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্যদেরও ডাকা হয়। এই বৈঠকে গ্রামীণ প্রশাসন থেকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই সরাসরি বুথকর্মীদের মুখোমুখি হন তিনি।

Advertisement

কার্যত তাঁদের সঙ্গেই আলোচনা করে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিলেন মমতা। কারণ এই বৈঠকের ঠিক এক দিন আগেই তিনি বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যের সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানও তিনি গ্রামীণ স্তরের উন্নয়নের খতিয়ান নেন ওই আধিকারিকদের কাছ থেকে। তার পর দিনই নিজের দলকেও বৃহত্তর স্তরে গণসংযোগের বেশ কিছু দাওয়াই বাতলে দেন মমতা-অভিষেক। ঠিক করে দেন আগামীর স্লোগানও। কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের তরফে এই সম্মেলনে লড়াইয়ের তার বেঁধে দিয়েছেন। সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে উৎসবের আমেজ। তাই তার পর আর কোনও দলীয় কর্মসূচি পালন করতে নারাজ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। সেটা তিনি জানিয়েও দিয়েছেন।

 

Advertisement