scorecardresearch
 

Smartphone ব্যবহার এক্ষুণি কম করুন, নইলে মস্তিষ্কে পড়বে এই মারাত্মক প্রভাব

Smartphone ব্যবহার এক্ষুণি কম করুন, নইলে মস্তিষ্কে পড়বে এই মারাত্মক প্রভাব। মস্তিষ্ক রাত-দিনের পার্থক্য ভ্রম করতে শুরু করবে।

Advertisement
ফোনেই পড়ছে এই মারাত্মক প্রভাব ফোনেই পড়ছে এই মারাত্মক প্রভাব
হাইলাইটস
  • Smartphone ব্যবহার এক্ষুণি কম করুন
  • নইলে মস্তিষ্কে পড়বে এই মারাত্মক প্রভাব

সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপস আমাদের একজন আরেকজনের সঙ্গে জুড়ে দেওয়ার আইডিয়ার সঙ্গে লঞ্চ হয়েছে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই অ্যাপসগুলি লোকেদের রিজার্ভ করে দেওয়ার প্রবনতার কারণ তৈরি করছে। যদিও রিজার্ভ হওয়া পর্যন্ত শুধু নয়, এই অ্যাপস এর কারণে মানসিক এবং শারীরিক বিভিন্ন রকমের সমস্যা তৈরি হচ্ছে।

রাতেও দিনের অনুভব মস্তিষ্ক

রিপোর্ট অনুযায়ী, ফোন থেকে বের হওয়া ব্লু লাইট এর কারণে আমাদের মাথায় রাতের বেলাতেও দিনের বেলার মতন সিগন্যাল পৌঁছাচ্ছে। অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্ক রাতকে দিন বলে মনে করছে। সেখানে গত কিছু সময় থেকে বেড়ে যাওয়া শর্ট ভিডিও তৈরি অ্যাপস এর কারণে লোকেরাই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে আরও বেশি লগ্ন হয়ে যাচ্ছেন।

বিহেভিয়ার সাইকোলজিতে আরও অ্য়াটাচ করার পরিকল্পনা

স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় হওয়া কিছু স্টাডিতে সামনে এসেছে। এমনকী টেক কোম্পানিগুলি বিহেভিয়ার সাইকোলজির কাজ করছে যাতে লোকেদের স্মার্টফোন অ্যাপস এর বেশি ইউজ করার জন্য বাধ্য করা যায়। সোশ্যাল মিডিয়া এবং স্মার্টফোনের বাড়তে থাকা অভ্যাস আপনি আপনার ঘরেই কম করতে পারেন। এ কারণে আপনার আপনার ঘরে রুল লাগু করতে হবে। ডিজিটাল বা ফোনের ইউজ কম করার জন্য আপনাকে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আসুন জেনে নেই কি করলে আপনার ফোনের রুল এবং ডিজিটাল জেরক্স কম করতে পারবেন আপনার স্মার্টফোনের অভ্যাস করলে আপনার শরীর স্বাস্থ্য মন ভালো থাকবে।

নোটিফিকেশন অফ করে দিন

ফোনে আসা নোটিফিকেশন বার বার আমাদের মনোযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তাই নোটিফিকেশনের কোনও রকম সাউন্ড মোবাইলে রাখবেন না। যখন আপনার দেখার ইচ্ছে হবে, আপনি নোটিফিকেশন দেখে নিন। কিন্তু সব সময়ে অন্য কাজের মধ্যে আপনাকে এই নোটিফিকেশনের আওয়াজ বিরক্ত বা মনোযোগ সরিয়ে নেবেন না। কোন জরুরি মেসেজ বা নোটিফিকেশন মিস না হয়ে যায় এ কারণে আমরা সবসময়ই নোটিফিকেশন অন করে রাখি। এটা মস্তিষ্কের জন্য খারাপ প্রভাব ফেলে। ফলে নোটিফিকেশন অফ করে দিলে আমাদের মোবাইলের প্রতি আকর্ষণ এবং মনোযোগ কিছুটা কমে যাবে।

Advertisement

স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিন

স্ক্রিন টাইম কম করা খুব জরুরি। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি সোশ্যাল অ্যাপ এর মত ফিচার দেয়। এর সাহায্যে আপনি চেক করতে পারেন স্মার্টফোনে আপনি সবচেয়ে বেশি সময় কোথায় কাটিয়েছেন। এই অ্যাপস যেগুলি আপনি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন, সেগুলি মনিটরিং করে আপনি আপনার ফোনের স্ক্রিন টাইম কমিয়ে দিতে পারেন।

নো ফোন রুল

যদিও এমন কোনও নিয়ম নেই, কিন্তু স্মার্টফোন ইউজ করার সময় কমানোর জন্য আপনাকে এ রকম নিয়ম তৈরি করতে হবে। খাবার টেবিলে কোনও ফোন নিয়ে আসবেন না বা ঘুমানোর সময় মাথার কাছে বা হাতের কাছে ফোন না রেখে তা কিছুটা দূরে রেখে দিন। যাতে উঠে নিতে গিয়ে আলসে লাগবে। নিশ্চিত করুন যে ঘরে বিনা কারণে প্রয়োজন ছাড়া কেউ স্মার্টফোন ইউজ করবেন না। সময় কাটাতে হলে টিভি দেখা বা অন্য কোনও উপায় অবলম্বন করতে পারেন।

ফ্লাইট মোড অথবা সুইচড অফ করা

যখন আপনি ফোন ইউজ করছেন না তখন সেটি ফ্লাইট মোড সুইচ অফ করে রাখার চেষ্টা করুন। যদি সম্ভব না হয় তাহলে অন্তত সাইলেন্ট মোডে করে দিন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান গল্প-গুজব করুন। শুরুতে কিছুদিন একটা সমস্যা তৈরি হবে কিন্তু ধীরে ধীরে আপনি এটা অভ্যাসে নিয়ে আসতে পারবেন।

ডিজিটাল ডিটক্স

সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের রোজকার জীবনে অভ্যাসে পরিণত হয়েছে এবং আমরা বিনা কারণে এই প্লাটফর্মে এখন সময় কাটাতে শুরু করে দিয়েছি। হাতে মোবাইল কিনা থাকলে যেন মনে হয় বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এই বিষয়টি কম করার জন্য জরুরি না হলে ফোন হাতে রাখবেন না। বাড়িতে থাকলে ফোন এমন জায়গায় রাখুন যাতে সব সময় নজর না যায়।

অডিও অ্যাপস ব্যবহার করুন

অডিও অ্যাপস রয়েছে। যে তারা গান শোনার জন্য youtube-এ ব্যবহার করেন। এটি একটি ভিডিও স্ট্রিমিং অ্যাপ এবং গান শোনার জন্য আপনি এই অ্যাপের প্রয়োজন নেই। এ জন্য আপনি অডিও অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। গুগল প্লে-স্টোরে অ্যাপ স্টোরে একাধিক এরকম ফ্রি অ্যাপস মজুত রয়েছে। যা ব্যবহার আপনি করতে পারেন।

 

Advertisement