National Anthem Controversy In Uttar Pradesh: উত্তরপ্রদেশের কৌশাম্বি জেলার সরকারি স্কুলের বইয়ে অসমাপ্ত জাতীয় সংগীত ছাপা হয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসার পর থেকে তোলপাড় শুরু হয়েছে গোটা দেশেই। চলতি মরশুমে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে যে বই বিতরণ করা হয়েছে, তাতেই জাতীয় সংগীতের মাঝখান থেকে কয়েকটি শব্দ উধাও হয়ে গিয়েছে। যা প্রকাশ্যে আসার পর বিপাকে পড়ে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা। বিষয়টি শুধরে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
আরও পড়ুনঃ Weight Loss Tips: পুজোর আগে ৭ উপায়ে কমান ওজন, আর কখনও বাড়বে না
দেরিতে পৌঁছয় পাঠ্য়পুস্তক
আসলে কৌশাম্বির উত্তরপ্রদেশ সরকারের অধীনে থাকা স্কুলগুলি যা পরিষদীয় বিদ্যালয় নামে পরিচিত, সেগুলির নতুন সেশন শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এরপরে সময়মতো পাঠ্যপুস্তক মেলেনি। দেরিতে পৌঁছয় সেগুলি। সম্প্রতি বইগুলি পড়ুয়াদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সঙ্গীতে নেই দু'টি শব্দ
পড়ুয়াদের মধ্যে বিতরণ করা এই বইগুলির মধ্যে পঞ্চম শ্রেণির হিন্দি বিষয়ে একটি বইয়ে জাতীয় সঙ্গীতের পংক্তিতে 'উৎকল' এবং 'বঙ্গ' শব্দ দু'টি গায়েব হয়ে গিয়েছে বলে দেখা গিয়েছে। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিকরা এটিকে প্রিন্টিং মিসটেক বলেই দাবি করেছেন। জানিয়ে দেওয়া যাক যে, পঞ্চম শ্রেণির বাচ্চাদের জন্য হিন্দি পুস্তকের নাম 'বাটিকা'।
তৃতীয় লাইনে দেখা গিয়েছে ভুল
বইয়ে ছাপা জাতীয় সংগীত "জনগণমন" থেকে নিয়ে "পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা" পর্যন্ত ঠিক লেখা রয়েছে। কিন্তু এর পরে 'দ্রাবিড়' শব্দের পর দুটি শব্দ 'উৎকল' এবং 'বঙ্গ' নেই। এরপরেই সোজা পরের লাইন "বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা" শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ভুল একটি দুটি বইয়ে নয় বরং পঞ্চম শ্রেণির সমস্ত বইটি দেখা গিয়েছে।
জানিয়ে দেওয়া যাক যে, কৌশাম্বিতে ১০৮৯ টি পরিষদীয় বিদ্যালয়ে রয়েছে। প্রায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ে। স্কুলের সেশন এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের তরফে বই পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। এই কয়েক মাস তাঁরা পুরনো বই নিয়ে পড়াশোনা করছিল।
ভুল নিয়ে কী বলছেন আধিকারিকরা
এই ভুলের পর প্রাথমিক শিক্ষা আধিকারিক প্রকাশ সিং জানিয়েছেন যে, এটি প্রিন্টিং মিসটেকের কারণে হয়েছে। প্রকাশনা সংস্থার ভুল এটি। পংক্তিগুলি ঠিক করে পাঠানোর জন্য তিনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ঠিক করে দেওয়া হবে এটা কোন ইচ্ছাকৃত ভুল নয়
এর আগেও জাতীয় সংগীত নিয়ে বিতর্ক বাধে
উত্তরপ্রদেশের জাতীয় সংগীত নিয়ে এর আগেও বিবাদ সামনে এসেছে। এর আগে সমস্ত মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে। এই নির্দেশ, সরকারি অনুমোদন প্রাপ্ত সমস্ত স্কুলে লাগু করা হয়।