এক ব্যক্তি স্ক্র্যাপ-এ পড়ে থাকা একটা বাস তুলে নিয়েছেন। সেটিকে সুন্দর ঘর বানিয়ে ফেলেছেন। ঘর তৈরি করার আগে যদি বাসটিকে কেউ দেখতেন, তাহলে বিশ্বাস করতে পারতেন না যে সেটি কি অবস্থায় ছিল। কিন্তু এটা সত্যি যে ওই জায়গায় এই ব্যক্তির জন্য উইকেন্ডে ডেটিং স্পট হয়ে গিয়েছে। যেখানে তিনি এখন তার গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে সময় কাটান।
খবর অনুযায়ী যে ব্যক্তি বাসকে ঘর বানিয়েছেন, তার নাম লিউক হোয়াইটকার। তার বয়স ৩৭ বছর। তার ভাঙাচোরা বাসকে ঘর বানানোর গল্প জেনে নিন। ওই ব্যক্তি কর্মসূত্রে আলাদা থাকতেন। পরে লকডাউনে অফিস বন্ধ থাকার সময় তিনি নিজের হোম টাউনে নিজের মা-বাবার সঙ্গে থাকতে চলে গিয়েছিলেন। তিনি একটা লম্বা সময় থেকে ভাড়া দিচ্ছিলেন যা দিয়ে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানিয়েছেন।
যখনই ব্রিটেনের করোনার কারণে লকডাউন শুরু হয়ে যায়, লিউকের বাবা করোনা ভাইরাসে তাদের বাড়িতে কেউ আক্রান্ত হতে পারে আশঙ্কা করেন। এরপর ব্রিটেনের Hereford শহরে একটি খারাপ অবস্থায় পড়ে থাকা একটা বাড়ি কিনে নেন। যার দাম ১ লাখ ২৯ হাজার টাকার কাছাকাছি পড়ে। কারণ এর ইঞ্জিন জ্যাম ছিল। এ কারণে চালানো যেত না ৮ লাখ ৪৭ হাজার টাকা খরচ করেন। এর মধ্যে তিনি d.i.y. ডুয়েট ইয়োরসেল্ফ স্কিলস তিনি ইউটিউব থেকে শিখে এবং বাসকে মডিফাই করে ফেলেন।
লিউক বাসে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকেন এবং সোশ্যাল ডিসটেন্সিংয়ের পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ওই ভাড়া বাঁচাতে শুরু করেন যা তিনি খরচ করতে হচ্ছিল। তাকে মাসের পর মাস লক ডাউনে সেই বাসে থাকেন। এর মধ্যে তিনি প্রায় দু'লাখ টাকা বাঁচিয়ে দেন। "আমি বাসে থাকার সিদ্ধান্ত লকডাউনের মধ্যে নিই। আমার বাবা করোনায় খুব উদ্বিগ্ন ছিল। আর আমরা কোয়ারান্টিন পিরিয়ডে আমার ঘরে চলে যাই এবং পয়সা বাঁচানোর উদ্দেশ্যে বাস কিনে নিই।
৩৩ বছরের মিডিয়া প্রডিউসার নিকিশা ম্যাকিনটোশ তাঁর গার্লফ্রেন্ড। এখন তিনি উইকেন্ডে লিউকের সঙ্গে এই বাসে থাকেন। আর এনজয় করেন।