Sologamy: বিয়ে নিয়ে মেয়েদের বিভিন্ন রকমের স্বপ্ন থাকে। তাঁরও অনেক ইচ্ছা আছে। প্রতিটি মেয়ের মতো ২৪ বছর বয়সী ক্ষমা বিন্দুও তাঁর বিয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ১১ জুন তাঁর বিয়ে। তিনি এ জন্য লেহেঙ্গা থেকে পার্লার এবং গহনা সব কিছু বুক করেছেন।
তবে বিশেষ বিষয় হল তাঁকে বিয়ে করার জন্য কোনও বর থাকবে না। শুনলে অবাক হবেন যে বর ছাড়া বিয়ে হয় কীভাবে? আসলে, ক্ষমা নিজেকে ছাড়া অন্য কাউকে বিয়ে করতে যাচ্ছে না।
বিশেষ বিষয় হল ক্ষমা সাতপাক নেওয়া থেকে শুরু করে সব রীতি মেনেই বিয়ে করবেন। এমনকী তিনি সিঁদুরও লাগাবেন। তবে বিয়েতে বর থাকবেন না, বরযাত্রী হবে না। হইহই করে আসবেন না তাঁরা। এটাকে সম্ভবত গুজরাটে প্রথম সোলো বিয়ে (একক বিয়ে) বলা হচ্ছে।
কেন নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলেন?
এক সর্বভারতীয় ইংরেজি দৈনিককে ক্ষমা জানিয়েছেন, তিনি কখনই বিয়ে করতে চাননি। কিন্তু পাত্রী হওয়ার স্বপ্ন ছিল তাঁর। তাই নিজেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর অনলাইনে খোঁজ নেন কোন দেশের নারী নিজেকে বিয়ে করেছেন কিনা। কিন্তু কোনও খোঁজ পাননি। তিনি বলেছিলেন যে তিনি সম্ভবত দেশে একক বিয়ে করা প্রথম মেয়ে হিসেবে উদাহরণ তৈরি করবেন।
আরও পড়ুন: টেক বিপ্লব! কিবোর্ড-মাউজে ইমোজি, জায়গা পেল ওয়েব অ্যাড্রেসেও
আরও পড়ুন: 'অমর জ্যোতি নিভছে না, ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে মিশছে,' সাফাই কেন্দ্রের
আরও পড়ুন: 'অন্য কাউকে আসতে দেব না!' প্রেমিকের বিয়ে ঠিক হওয়ায় প্রেমিকার হুঁশিয়ারি
তিনি এক প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন। নিজেকে বিয়ে করা নিজের প্রতি একটি অঙ্গীকার, নিঃশর্ত প্রেমে থাকা, তিনি বলেছিলেন। এটি স্ব-গ্রহণযোগ্যতার একটি কাজ। মানুষ যাকে ভালবাসে তাঁকে বিয়ে করেন। আমি নিজেকে ভালবাসি, তাই নিজেকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হানিমুনেও যাবেন
"কিছু লোকের কাছে নিজেকে বিয়ে করা অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হতে পারে," তিনি বলেছিলেন। কিন্তু আমি যেটা দেখাতে চাই সেটা হল নারীদের ব্যাপার। তাঁর মা-বাবা খোলা মনের। এবং তাঁরা বিয়েতে আশীর্বাদ করেছিলেন, তিনি বলেছিলেন।
গোত্রীর এক মন্দিরে ক্ষমার বিয়ে হবে। বিয়ে করার জন্য নিজের কাছে পাঁচটি প্রতিজ্ঞা করেছেন। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর হানিমুনেও যাবেন ক্ষমা। এর জন্য তিনি গোয়াকে বেছে নিয়েছেন। যেখানে তিনি দুই সপ্তাহ থাকবেন।
সোলোগ্যামি (Sologamy) কী?
সোলোগামি বা অটোগ্যামি বলতে বোঝায় একজন ব্যক্তির নিজের সঙ্গে বিয়ে। একাকীত্বের সমর্থকরা যুক্তি দেন যে নিজেকে বিয়ে করা মানে নিজের গুরুত্ব নিশ্চিত করা। এটা একটি সুখী জীবনের দিকে পরিচালিত করে। একে স্ব-বিবাহও বলা হয়।