দশমীর রাতে জলপাইগুড়িতে মালবাজারে দুর্গাপুজোয় বিসর্জনের সময় আচমকা হড়পা বান এসে ভেসে গিয়েছিলেন অনেকে। তার মধ্যে ৮ জনের মৃত্যু হয়। সোমবার মালবাজারে (Malbazar) নিহতদের বাড়িতে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। আট জনের মধ্যে ৬ জনের পরিবারের সঙ্গেই এদিন বাড়ি গিয়ে দেখা করেন তিনি। দুটি পরিবার মালবাজারে না থাকার কারণে তাঁদের বাড়িতে যেতে পারেননি বলে দুঃখপ্রকাশও করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ জলের তোড়েই দিলেন এক ঝাঁপ, সোশ্যাল মিডিয়ায় VIRAL মালবাজারের মানিকের সেই VIDEO
এদিন দমদম থেকে সরাসরি শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। সেখান থেকে সড়কপথে সোজা মালবাজারে পৌঁছন। শোকসন্তপ্ত পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তাঁদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন। প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলেন। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়েছেন, কার্নিভাল থাকার কারণে তাঁর যেতে একটু দেরি হল। সে জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশও করেন। তবে তিনি যে সব সময় খোঁজখবর নিয়েছেন, তাও এদিন জানিয়ে দিয়েছেন।
দেখা করে বেরিয়ে মালবাজারের বাসিন্দা, যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করেছেন, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাইকে ধন্যবাগ জানান। তিনি বলেন, "আমি সমস্ত খোঁজ রেখেছি। অনেকে ভাল কাজ করেছেন। প্রত্যেককে ধন্য়বাদ।"
আগে অবশ্য ঠিক ছিল মঙ্গলবার মালবাজারে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সূচি হঠাৎই বদলে এদিনই বিকেলে বিমান থেকে নেমেই মৃত তপন অধিকারীর বাড়িতে পৌঁছে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী সহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুনঃ ভ্রাম্যমান রেস্তোরাঁ নিয়ে ছুটছে টয়ট্রেন, দ্বিতীয়াতেই দার্জিলিংমুখী বাংলা
এর আগে বিজয়া দশমীর দিন রাতে দুর্গাপ্রতিমা বিসর্জনের সময় মালবাজারের মাল নদীতে যখন প্রতিমা নিরঞ্জন চলছিল, সেই সময় আচমকা হড়পা বান আসায় অনেকেই সামলাতে পারেননি। প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছিলেন অনেকে। তার মধ্যে বহু মানুষকে স্থানীয়রা বাঁচিয়েছেন। তবে ৮ জনকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা রাজ্য থেকে দেশে। প্রশ্ন ওঠে নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক বন্দোবস্ত নিয়ে। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই আর্থিক সাহায্য় করেন মৃতদের পরিবারকে।