রাত তখন সওয়া তিনটা মতো। রিসর্টের কুকুরগুলি আচমকা চিৎকার শুরু করে দিল। তাদের চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে আরও কিছু কুকুর চিৎকার করতে শুরু করে। ব্যাপার কী? চোর-ছ্যাঁচড় নাকি? বিষয়টি ভাল করে বোঝার চেষ্টাতে জানালা খুলে রিসর্টের এক কর্মী বাইরে টর্চের আলো ফেলতেই হাড়-হিম দৃশ্য। একজোড়া জ্বলজলে চোখে তাকিয় রয়েছে স্বয়ং মূর্তিমান চিতাবাঘ।
আরও পড়ুনঃ Tomato Eating Alert: গায়ে দুর্গন্ধ-কিডনিতে পাথর, বেশি টমেটো খেলে যা যা হতে পারে...
ডুয়ার্সের মেটেলি ব্লকের ধুপঝোরা এলাকার একটি বেসরকারি রিসর্টের ঘটনা। শুক্রবার রাত সওয়া তিনটা নাগাদ আচমকা কুকুর চিৎকার করতেই বিষয়টি টের পান রিসর্টের কর্মীরা। এরপর সবাই মিলে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে দেওয়ায়, বিপদ বুঝে চিতাবাঘটি জঙ্গলে পালিয়ে যায়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। তবে এই ঘটনা এলাকার পর্যটনের জন্য অত্যন্ত ভাল বিজ্ঞাপন বলে মনে করছে এলাকার পর্যটন সার্কিট।
পরে রিসর্টের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখায় যায়, চিতাবাঘটির গতিবিধি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। মেটেলি ব্লকের এই অংশটিও গরুমারা অভয়ারন্যেরই অংশ। যে এলাকায় রিসর্টটি, সেটি দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকা।সেখানকারই একটি বেসরকারি রিসর্টে চিতাবাঘটি ঢুকে পড়ে। প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও পরে সকালে উঠে রিসর্টে থাকা পর্যটকদের অনেকেই বিষয়টিতে রোমাঞ্চ অনুভব করেছেন।
সম্ভবত গরুমারার জঙ্গল ও পাশে লাগোয়া চা বাগান এলাকা থেকে চিতাবাঘটি হয়তো খাবারের খোঁজে ওই এলাকায় চলে এসেছিল। এর আগেও দক্ষিণ ধূপঝোরা এলাকার একটি রিসর্টের ভেতরে একাধিকবার হাতি ঢুকে পড়ার ছবি দেখা গিয়েছিল।এবার দেখা গেল চিতাবাঘ। সামনেই পুজোর ছুটি। ভরা পর্যটন মরশুম। তার আগে এলাকায়া চিতাবাঘের আনাগোণা এলাকার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে সাহায্য করবে বলে অনেকে মনে করছেন।
আরও পড়ুনঃ পুজোয় NBSTC-র স্পেশাল ট্যুর প্যাকেজ, বুকিং শুরু ২০ সেপ্টেম্বর
ওই রিসর্টের কর্মী প্রীতম ছেত্রী স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রিসর্টে থাকা কুকুরের ডাক শুনেবের হয়ে দেখেন চিতাবাঘটি রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিতাবাঘটি রিসর্টের গেট টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করছিল বলেও তিনি জানান। ওই সময় তিনি চিৎকার করলে চিতাবাঘটি ফের রাস্তা দিয়ে চা বাগানের মধ্যে চলে যায়।