scorecardresearch
 

আফিমের তদন্তে গাফিলতি, নজিরবিহীন সাসপেনশনে দুই পুলিশ অফিসার

যত কাণ্ড কালিয়াচকে। আফিমের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় নজিরবিহীনভাবে সাসপেন্ড করা হল কালিয়াচক থানার দুই পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে। বিষয়টি সামনে আসতেই মালদা জুড়ে চাঞ্চল্য।

Advertisement
সাসপেন্ড পুলিশ অফিসার সাসপেন্ড পুলিশ অফিসার
হাইলাইটস
  • দুই সাব ইন্সপেক্টর সাসপেন্ড
  • বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন বহাল
  • আফিমের তদন্ত গাফিলতির অভিযোগ

আফিমে গাফিলতি, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত 

আফিমের তদন্তে গাফিলতি। অভিযোগ ওঠায় নজিরবিহীনভাবে সাসপেন্ড করা হল কালিয়াচক থানার দুই পুলিশ সাব-ইন্সপেক্টরকে। বিষয়টি সামনে আসতেই মালদা জুড়ে চাঞ্চল্য। বিরোধীরা দাঁতনখ বার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড

তাদের বিরুদ্ধে মামলায় গড়িমসি ও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে সাসপেনশনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যতদিন না বিভাগীয় তদন্ত শেষ হবে ততদিন তারা সাসপেন্ড থাকবে বলে জানানো হয়েছে। 

যত কাণ্ড কালিয়াচকে

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড দুই সাব ইন্সপেক্টরের নাম সৌম্যজিৎ মল্লিক ও রাকেশ বিশ্বাস। তারা বর্তমানে কালিয়াচক থানায় কর্তব্যরত ছিলেন। মালদার কালিয়াচক থানা এলাকাটি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী থানা। পৃথিবীতে যত রকম অপরাধ আছে, কালিয়াচকে হয় না এমন কোনও অপরাধ নেই। আফিম চাষ তার মধ্যে একটা।

মামলায় গাফিলতির অভিযোগ

ওই এলাকায় সেখানে ২০১৪-১৫ সালে প্রচুর আফিম চাষ হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর মানুষকে মাদক পাচার ও রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করে। পরবর্তী সময়ে প্রশাসন হুলিয়া জারি করে আফিম চাষ কিছুটা স্থিমিত করে। এরপরেও আফিমের আঠা, ব্রাউন সুগার সহ একাধিক এনসিবি অ্যাক্টে মামলা হয়। ধরা পরে অভিযুক্তরা।

তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেনশন থাকবে

বর্তমানে নারকোটিক অ্যাক্ট মামলা হয়। সেই মামলায় দুই অফিসারকে তদন্তের দ্বায়িত্ব ভার দেওয়া হয়। কিন্তু সেই মামলায় কর্তব্যের গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। আর এরপরেই সোমবার সাব ইন্সপেক্টর রাকেশ বিশ্বাস ও সৌমজিৎ মল্লিককে সাসপেন্ড করলেন মালদা জেলা পুলিশ সুপার। বিভাগীয় তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত সাসপেন্ড থাকবে তারা।

পুলিশ সুপারের দাবি

জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, কালিয়াচক থানার একটি মামলায় এই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। সেই কারণে সাসপেন্ড করা হয়েছে এই দুই পুলিশ অফিসারকে। তাদের বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

শাসক-বিরোধী তরজা

জেলা বিজেপি সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মন্ডল বলেন, তৃণমূল কীভাবে শাসন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তা এতে প্রমাণিত।তাদের পুলিশ ও ঠিক একই রকম কাজ করছেন। শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করার ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। শুধু দুই পুলিশ অফিসার নয়, সঠিকভাবে তদন্ত করলে এই রকম সাসপেন্ড অনেক হবে। আমরা বলব সঠিকভাবে তদন্ত করুন মানুষের হয়ে কাজ করুন। কংগ্রেস নেতা কালী সাধন রায় জানান, শাসক দল যেমন তাদের পুলিশও ঠিক সেইরকম। তার ফলে পুলিশ সাসপেন্ড হয়েছে। তবে বলব এ ক্ষেত্রে পুলিশ সুপার ভালো কাজ করেছেন। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, যারা অন্যায় করবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইমতো জেলা পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। আমাদের প্রশাসন সঠিক কাজ করেছে। বিরোধীরা কে কি বলল তাতে কোনো যায় আসে না।

 

Advertisement