উত্তরবঙ্গে স্ক্রাব টাইফাসের হানা। এর আগে শিলিগুড়িতে একটি চার বছরের শিশুর স্ক্রাব টাইফাস ধরা পড়েছিল গত সপ্তাহে। এবার কোচবিহারেও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে উত্তরবঙ্গে। অন্য় জেলাগুলিতেও সতর্ক স্বাস্থ্য বিভাগ। জ্বর এলে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের প্রায় ৬০ এর কাছাকাছি রয়েছে। গত বছর স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম ছিল। এবার প্রথম চার-পাঁচ মাসে সংখ্যাটা বহু গুণ বেড়ে গিয়েছে। তবে স্বাস্থ্য দফতরের ধারণা, আগেও এত কম ছিল না, আসলে পরীক্ষা এবার বেশি হওয়াতে সংখ্য়াটা বেশি দেখাচ্ছে। তবে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
আগে শুধুমাত্র কোচবিহার এমএজেএন মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষা করা হয়েছিল, এখন মাথাভাঙা ও তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালেও পরীক্ষা হচ্ছে। অন্য়ান্য জেলাতেও পরীক্ষার ব্যবস্থা ভাল। তবে শিলিগুড়িতে একটি এবং কোচবিহারে ছাড়া উত্তরবঙ্গের আর কোথাও তেমনভাবে স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্তের খবর মেলেনি।
এই অবস্থায় রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটেরিয়া। যে রোগের প্রাথমিক উপসর্গই হল জ্বর।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের একটি চার বছরের শিশু ডেঙ্গু ও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত হয়েছে। পাশাপাশি ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দাও ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
এই রোগের মূল লক্ষণগুলি কী কী?
সাধারণ জ্বরের মতোই এই রোগেও যে লক্ষণগুলি দেখা যায়, সেগুলি হল -
মাথা ব্যথা, টানা জ্বর, গায়ে হাত-পায়ে ব্যথা, শরীরে পোকা কামড়ানোর দাগ পাওয়া যায়, লো ব্লাড প্রেশার, সর্দি, সারা শরীরে র্যাশ, পেটের সমস্যা দেখা দেয়।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটিরিয়া! প্রথমেই ধরা পড়লে স্ক্রাব টাইফাসের দ্রুত মোকাবিলা সম্ভব। রোগ নির্ণয়ে দেরি হলেই প্রাণঘাতী হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস।