জামাইষষ্ঠী শব্দটি শুনলেই প্রতিটি জামাইয়ের মন উচাটন হয়ে ওঠে। জামাইষষ্ঠী মানেই চব্য-চোষ্য-লেহ্য-পেয় সহযোগে শ্বশুর-শাশুড়ির স্নেহের ছায়ায় বসে ভুরিভোজ। নতুন নয়, এই রীতি যুগ-যুগান্ত ধরে চলে আসছে বাঙালি সমাজে। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। তাইতো জামাইষষ্ঠীর আগে সমস্ত জিনিসের দাম বেড়ে যায় ক্রমবর্ধমান চাহিদার কথা মাথায় রেখে।
জামাই আদর করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার শ্বশুর-শাশুড়ি
কিন্তু জামাইকে আদর করতে গিয়ে উল্টো হেনস্থা হতে হয়েছে শ্বশুর-শাশুড়িকে, এমনটা খুব একটা শোনা যায় না। বিশেষ করে এমন সুযোগ কেই বা ছাড়ে। এমনই ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটিয়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন নোয়াখালির এক জামাই ও তার বাবা-মা। আসলে বিষয়টি এরকম।
জামাই আসতে পারেননি, তাই শ্বশুর-শাশুড়ি গিয়েছিলেন
নোদাখালির বাসিন্দা সঞ্জীব কর্মকারের বিয়ে হয় হরিদেবপুরের লাবণি অধিকারীর সঙ্গে ২০১৮ সালে। ২০১৮ সালের পর মাঝে করোনার কারণে লকডাউন সহ বিভিন্ন কারণে জামাইষষ্ঠী পালন করা হয়নি। তাই এ বছর লাবণিদেবীর বাবা-মা জামাইষষ্ঠীতে মেয়ে-জামাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন হরিদেবপুরের বাড়িতে। কিন্তু পুলিশের এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত সঞ্জীব, কাজ আছে বলে শ্বশুরবাড়ি যেতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন। যদিও জামাই বরণ করতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে খেলা শ্বশুর-শাশুড়ির মন তাতে সায় দেয়নি। তারাই উল্টো জামাইয়ের বাড়িতে গিয়ে তাকে বরণ করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
মারধর করে জামাই ও তার বাবা-মা
সেই মতো জামাইষষ্ঠীর সকালে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে যান। এরপরই তাঁদের হেনস্তার শিকার হতে হয় বলে জানা গিয়েছে। লাবণিদেবীর অভিযোগ, প্রথমেই ভালো ব্যবহার করলেও কিছুক্ষণ পরেই সঞ্জীবের বাবা তাঁকে এবং তাঁর স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বার করে দেন। লাবণির বাবাকে মারধর করা হয়। এমনকী জামাই সঞ্জীবও হুমকি দিতে থাকে। তাঁরা ঘাবড়ে গিয়ে, ভয়ে-আতঙ্কে-অপমানে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে আসেন। এখন তাঁরা তো চলে এসেছেন, তাদের চিন্তা, মেয়েকে এর ফল ভোগ করতে না হয়, তা নিয়ে। কি করবেন বুঝতে না পেরে হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছেন হতভাগ্য মেয়ের বাবা-মা।