বাঙালির মনে- প্রাণে, সুখে-দুঃখে, উৎসবে সবেতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) থাকেন। বলা যায় গুরুদেব বাঙালিদের আত্মার সঙ্গে মিশে আছেন। তাই তো ২২ শে শ্রাবণ (Baishe Srabon) এতটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৯৪১ সালের এদিনই (ইংরাজি ৮ অগস্ট) না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এই বছর রবীন্দ্র প্রয়াণের আশিতম বার্ষিকী। আর বার্ষিকীর এই বিশেষ দিন উপলক্ষে আয়োজন হচ্ছে 'দুখরজনীর সাথি' (Dukhorjonir Sathi) নামক এক ডিজিটাল কনসার্টের (Digital Concert)। যেখানে একসঙ্গে রবি ঠাকুরের গান (Rabindra Sangeet) উপহার দেবেন সঙ্গীতশিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য (Srikanta Acharya) এবং জয়তী চক্রবর্তী (Jayati Chakraborty)।
কোভিড অতিমারীর এই অন্ধকারময় সময় এখনও অডিটোরিয়াম বন্ধ। তবু গান শোনার এবং ভাল অনুষ্ঠান দেখার প্রতি মানুষের আগ্রহ কমেনি। তাই অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে একমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমই ভরসা। শ্রোতারাও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হয়ে উঠছেন টেক স্যাভি। এরকম সময়ে, আরোহ এবং গানসই-র উদ্যোগে আগামী ২২ শ্রাবণ (৮ অগাস্ট) রাত ৮.৩০ টায় (ভারতীয় সময়) একটি ডিজিটাল কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে প্রবেশপত্র অর্থাৎ টিকিট ইতিমধ্যেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে www.musianamiles.com থেকে। 'দুখরজনীর সাথি' নামক এই ডিজিটাল কনসার্টের নামকরণ হয়েছে 'আজি বরিষণ মুখরিত শ্রাবণ রাতি' (Aji Borishono Mukhorito Srabon Raati) গানটির একটি লাইন থেকে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরবাড়ির রান্না! বাড়িতেই তৈরি করুন গুরুদেবের পছন্দের 'কবি সম্বর্ধনা মিষ্টি'
বাঙালির দুখরজনীর সাথী রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কেই বা হবেন? তিনি যে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বাংলা ঐতিহ্যের সঙ্গে। শুধু ভাল সময়েই নয়, খারাপ সময়েও তাই তাঁর গান বেঁধে রাখে আমাদের। তিনি নিজে দুঃখ-যন্ত্রণাকে অতিক্রম করে মাথা তুলে দাঁড়িয়েছেন প্রতিবার। তাঁর গানও আমাদের মাথা তুলতে শেখায় তাই গভীর অসময়ে। লড়াই করার শক্তি দেয়। রবীন্দ্রনাথের গান ও সেই সংক্রান্ত কিছু আলোচনা নিয়েই হবে সমগ্র অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: 'সীমান্ত' ছবির জন্য গান রেকর্ড করলেন 'সারেগামাপা'-র অর্কদীপ- স্নিগ্ধজিৎ!
প্রসঙ্গত, এর আগেও বহুবার বাইশে শ্রাবণে শ্রীকান্ত এবং জয়তী মঞ্চে একসঙ্গে এসেছেন 'গান তুমি কবি' শীর্ষক অনুষ্ঠানে। এবছরও সেই একই ঐতিহ্য বজায় থাকছে। তবে এই রকম ডিজিটাল অনুষ্ঠান প্রথম। তাই তফাৎ শুধু একটাই। এবারের মঞ্চ সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাল। শ্রোতাদের কাছাকাছি না যেতে পারলেও, শিল্পীরা গান গেয়ে নিজেদের অনুভূতিগুলি ডিজিটাল মাধ্যমেই দর্শকদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাইছেন। আশা করা যায় শ্রীকান্ত আচার্য এবং জয়তী চক্রবর্তী, দুজনের এই যুগলবন্দী 'দুখরজনীর সাথি' হয়ে বেঁধে রাখবে শ্রোতাদের।