Advertisement

লাইফস্টাইল

Sleep with Blanket: সারাবছর চাদর বা কম্বলে গায়ে ঢাকা নিলে ঘুমই আসে না? এই ব্যক্তিদের সাইকোলজি জানুন

Aajtak Bangla
Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 26 Aug 2025,
  • Updated 1:27 PM IST
  • 1/11

শীতকালে তো বটেই, গ্রীষ্ম, বর্ষা সহ সব ঋতুতেই গায়ে হালকা ঢাকা নিয়ে ঘুমোন। অনেকে আরামদাক ব্ল্যাঙ্কেটও ব্যবহার করেন। গায়ে ঢাকা না নিলে বহু মানুষের ঘুমই আসে না। এমনকী কোনও একটি নির্দিষ্ট কম্বলও থাকে অনেকের, ঘুমনোর সময় যা মাস্ট। আপনারও কি এই অভ্যাস আছে? আসলে এই অভ্যাসের নেপথ্যে রয়েছে একধরনের সাইকোলজি বা মনস্তত্ত্ব। রয়েছে বিজ্ঞানও। 

  • 2/11

আমাদের ঘুমের ধরন কিন্তু হঠাৎ তৈরি হয় না, বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠে। যেমন, কেউ নির্দিষ্ট ভঙ্গিতে শোওয়া পছন্দ করেন, কারও আবার কম্বল চাই-ই চাই। প্রত্যেকেরই ঘুমের নিজস্ব অভ্যাস থাকে। কারণ ঘুম শরীরের সবচেয়ে বড় মেরামত প্রক্রিয়া। ভাল ঘুম শরীরকে সারিয়ে তোলে ও নতুন শক্তি জোগায়।

  • 3/11

কিন্তু যখন এই ঘুমের অভ্যাস ভেঙে যায়, যেমন কম্বল নেই বা নতুন জায়গায় শুতে হচ্ছে, তখন ঘুম আসা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। তাই তো অনেকে বলেন, আমি শুধু আমার নিজের বিছানায় ঘুমোতে পারি। মনোবিজ্ঞানী ও গ্লোবাল কর্পোরেট ওয়েলনেস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার স্বাতী চাওলা বলছেন, সারাবছর কম্বল বা চাদর নিয়ে ঘুমোনোর অভ্যাস আসলে আমাদের মানসিক অভ্যাস ও আরামের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে আছে।

  • 4/11

তাঁর কথায়, 'ঘুমের ধরন আসলে বছরের পর বছর তৈরি হওয়া একধরনের কন্ডিশনিং। যেমন, ছুটিতে গেলে বা হোটেলে গিয়ে অনেক সময় মানুষ আরাম করে ঘুমোতে পারেন না। একে বলা হয় ‘স্লিপ হাইজিন’। অনেকে ঘুমোতে গেলে নির্দিষ্ট রীতি বা অভ্যাসে বাঁধা থাকেন।'


 

  • 5/11

কিন্তু কেন বিশেষভাবে কম্বলকেই অনেকে বেছে নেন? স্বাতী চাওলার মতে, এর সম্পর্ক আরও গভীর। এর সঙ্গে রয়েছে গর্ভাবস্থার যোগও। মানুষের জন্য গর্ভ হল সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। জন্মের পর সেই উষ্ণতা ও নিরাপত্তার অনুভূতি পুরোপুরি হারায় না, বরং অন্য কিছুর মধ্যে স্থানান্তরিত হয়।
 

  • 6/11

প্রথম বিকল্প? কম্বল। নবজাতককে শক্ত করে জড়িয়ে রাখা হয়, সেটাই হয়ে ওঠে তার নতুন নিরাপদ আশ্রয়। অনেকের ক্ষেত্রে সেই কম্বল বা তার দেওয়া নিরাপত্তার অনুভূতি কৈশোর পেরিয়েও সারাজীবন থেকে যায়।
 

  • 7/11

চাওলার ব্যাখ্যা, ভাবুন, একটি শিশু নয় মাস ধরে গর্ভে ছিল, সেখানে সে নিরাপদ ও আরামদায়ক অবস্থায় ছিল। জন্মের পর প্রথম দু’মাস শিশুকে কম্বলে জড়িয়ে রাখা হয়, যা তাকে একই রকম আরাম, নিরাপত্তা ও ভালোবাসার অনুভূতি দেয়। মানসিকভাবে এই চাপ শিশুর কাছে নিরাপত্তার প্রতীক।
 

  • 8/11

এক্ষেত্রে  ‘ব্ল্যাঙ্কেট থেরাপি’ রয়েছে। যেখানে ভারী কম্বল ব্যবহার করা হয় ঘুম ভালো করার জন্য। তিনি বলেন, সাধারণত শরীরের ওজনের প্রায় ১০% ওজনের কম্বল ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যেমন, কারও ওজন যদি ৬০ কেজি হয়, তাহলে কম্বলের ওজন হওয়া উচিত ৭ থেকে ৮ কেজি। এতে গভীর চাপ তৈরি হয়।
 

  • 9/11

তিনি আরও যোগ করেন, এই উষ্ণতা একধরনের মানসিক শান্তি আনে, নড়াচড়া কমিয়ে দেয় এবং সেরোটোনিন ও মেলাটোনিন হরমোন নিঃসরণ করে, যেগুলি ঘুমের জন্য জরুরি। 
 

  • 10/11

অনেকের জন্য কম্বল বা চাদর ছাড়া ঘুম মানেই  খোলা আকাশের নিচে শোওয়া মনে করেন। ফলে ঘুম বারবার ভেঙে যায়। স্বাতী চাওলা বলেন, যদিও সবার ক্ষেত্রে এটি কাজ নাও করতে পারে, তবুও বেশিরভাগ মানুষ কম্বল নিয়ে ঘুমলে ভালো ঘুম পেয়ে থাকেন।

  • 11/11

তিনি বলেন, যেমন কেউ নির্দিষ্ট বালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। প্রত্যেকেরই নিজস্ব কম্বল ও বালিশে আরাম থাকে। কম্বল ছাড়া ঘুম সাধারণত ভেঙে ভেঙে যায়। এছাড়া তিনি ঘুমের সঙ্গে জড়িত আধ্যাত্মিক ও শক্তির দিক নিয়েও কথা বলেন। তাঁর কথায়, আধ্যাত্মিক দিক থেকেও যখন কম্বলে ঘুমান, তখন মনে হয় আপনি একই এনার্জির মধ্যে আছেন। তবে যদি অন্য কারও ব্যবহৃত ও না ধোওয়া কম্বল ব্যবহার করা হয়, তবে সেই এনার্জি নতুন মানুষের কাছে পৌঁছয় এবং অস্বস্তি তৈরি করে।
 

Advertisement

লেটেস্ট ফটো

Advertisement