বর্ষার মরশুম মানেই গরমের সঙ্গে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। অর্থাৎ প্যাচপ্যাচে ঘামে ভিজে যাওয়া শরীর। এই পরিস্থিতিতে শরীকে ঠাণ্ডা রাখতে এবং দেহে জলের পরিমান ঠিক রাখতে খাবারের তালিকায় বিশেষ কিছু সামগ্রী অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সেগুলি কী কী?
শসা - শরীরের জন্য শসা বিশেষ উপকারি। এতে থাকে ভিটামিন K, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফাইবার, যা শরীরে জলের ঘাটতি হতে দেয় না। শরীররে ঠাণ্ডা রাখে। তাছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে।
আম পানা - গরমের দিনে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার অন্যতম উপায় হয় আম পানা। আর এটা শুধু শরীরকে ঠাণ্ডাই রাখে না হজম শক্তিও বাড়ায়।
বাটার মিল্ক - শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এতে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যা শুধু ত্বককেই ভাল রাখে তাই নয়, হজম শক্তিও উন্নত করে।
পুদিনা - বাজারে খুব কম দামেই পাওয়া যায় পুদিনা পাতা, যা শরীরকে ঠাণ্ডা ও সতেজ রাখার অন্যতম উপাদান। চাটনি, বাটার মিল্ক বা রায়তায় সঙ্গে অনায়াসেই এটি খাওয়া যায়।
পেঁয়াজ - শরীরকে ঠাণ্ডা রাখার আরও একটি খাদ্য সামগ্রী হল পেঁয়াজ। লু থেকে বাঁচার জন্য তো কেউ কেউ কাঁচা পেঁয়াজও খেয়ে নেন। তাছাড়া পেঁয়াজে উপস্থিত কোয়ারসেটিন নামক উপাদান শরীরকে বিপজ্জনক এলার্জি থেকেও রক্ষা করে।
ডাবের জল - ডাবের জল খেলে দেহকোষে জলের অভাব তৈরি হয় না। আর শুধু শরীরকে ঠাণ্ডা রাখাই নয়, ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মতো জ্বরে ডাবের জল প্লেটলেট কাউন্ট বাড়িয়ে তোলে।
দই - গরমে দেহকে ঠাণ্ডা রাখার অন্যতম উপায় হল দই খাওয়া। রায়তা, লস্যি সহ বিভিন্নভাবে দইকে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া কেউ কেউ মরশুমি ফলের সঙ্গেও দই খেয়ে থাকেন।
আজমোদ - এতে প্রায় ৯৫ শতাংশই জল থাকে, যা গরমে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে বিশেষভাবে কার্যকরী। এছাড়া এতে থাকে সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও জিঙ্ক, যা শরীরের পক্ষে খুবই উপকারি।
সবুজ শাক-সবজি - বর্ষার সময় অনকে চিকিৎসকই বেশি শাক-সবজি খেতে নিষেধ করেন। তবে যদি সেগুলিকে ভাল করে ধুয়ে ও সেদ্ধ করে খাওয়া যায়, তবে তা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভাল। সবুজ শাক-সবজিতে জলের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে, যা শরীরকে গরম সহ্য করার ক্ষমতা দেয়।
বিশেষ কিছু ফল - গরমে আনারস, আপেল, মুসম্বি, ন্যাশপাতি ও পাতিলেবু খেলে শরীর ঠাণ্ডা থাকে।