কলাতে প্রচুর পটাশিয়াম, ফোলেট, কার্বস এবং ট্রিপটোফান থাকে। এই কারণেই এটি ফলের মধ্যে সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়।
পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও, নির্দিষ্ট কিছু ধরনের কলা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল বলে বিবেচিত হয় না।
কলা পাকার একটি প্রক্রিয়া আছে এবং এর অধীনে জানা যায় কোন কলা শরীরের জন্য ভালো এবং কোন ধরনের কলা পরিহার করা উচিত।
অতিরিক্ত পাকা কলা- স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত পাকা কলা সবচেয়ে ফালতু। আপনি চামড়ার উপর বাদামী দাগ দ্বারা তাদের সনাক্ত করতে পারেন। অতিরিক্ত পাতার কারণে এতে স্বাস্থ্যকর স্টার্চ কমতে শুরু করে এবং সুগারে পরিণত হয়। অত্যাধিক বাদামী কলাতে সুগারের পরিমাণ ১৭.৪ গ্রাম, সেখানে নরমাল হলুদ কলাতে এর পরিমাণ ১৪.৪ গ্রাম।
কম ফাইবারযুক্ত কলা- অতিরিক্ত পাকা কলাতে ফাইবারের পরিমাণও কম। তাদের মধ্যে মাত্র ১.৯ গ্রাম ফাইবার পাওয়া যায়, যেখন হলুদ কলাতে এর পরিমাণ৩.১ গ্রাম। শুধু তাই নয়, পাকা কলাতে ফাইবার কম নয়, এগুলোতে অল্প পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ৬ এবং ভিটামিন কে রয়েছে। তবে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বাড়াতে পাকা কলা খাওয়া যেতে পারে।
হলুদ কলা- সাধারণত হলুদ রঙের কলা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। হলুদ রঙের কলা সবুজ এবং বাদামী কলার চেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এগুলো শুধু খেতে সুস্বাদু নয়, সব ধরনের পুষ্টিও তাদের মধ্যে একইভাবে বিদ্যমান।
সবুজ কলা- সবুজ কলা বা খুব কম পাকা কলাকে সর্বোত্তম হিসেবে বিবেচনা করা হয় কারণ এগুলোতে সুগারের মাত্রা কম এবং প্রতিরোধী স্টার্চ বেশি। এটি খেলে আপনি দ্রুত ক্ষুধার্ত বোধ করবেন না এবং আপনি বারবার খিদে পাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। বিশেষ করে সবুজ কলা ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে ভালো বলে মনে করা হয়। এতে রয়েছে শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (SCFA) যা অন্ত্রকে সুস্থ রাখে। যদিও সবুজ কলা কিছুটা শক্ত এবং এগুলি খাওয়া সহজ নয়, তাই আপনি অন্যান্য উপায়ে এগুলি ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, সবুজ কলার আটা বা স্মুদি তৈরি করে, আপনি এটি খেতে পারেন।